সম্প্রতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলের আন্দোলনকে জনগনের কাছে বিভ্রান্তির সৃষ্টির করতে একের এক রাজনৈতিক খেলা খেলেছে সরকার।সরকার হরতালের নামে আগুন সন্ত্রাস করছে বিরোধী দল সম্পর্কে এমন তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে নানা অভিযোগ করেছে।কিন্তু এর বাস্তবতা যে কি তা দেশের মানুষ বুঝতে পেরেছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য হুবহু পাঠকদের জন্য নিচে দেওয়া হলো।
আমরা জাতি হিসেবে আগুনের রাজনীতি নিয়া কথা বলতে পারতেছি না। আমি ভিডিওতে আলাপ তুলছি কিন্তু সেটাকে আগায়ে নিতে পারলাম না। সব আলাপ আছে, হতাশা আছে, ক্ষোভ আছে কিন্তু আগুনের রাজনীতি নিয়া আলাপ নাই।
“আমার বাচ্চা ও বউ অলরেডি পুইড়া গেছে। আমারও ৯০ পারসেন্ট পুইড়া গেছে। আমি আর বের হয়েই বা কী করব। থাইকাই বা কী লাভ?”
এইটা মিছা কথা। ডাহা মিছা কথা। হাসিনার লোকেরা এই গল্প বানাইছে। একজন মৃত্যুপথ যাত্রী মানুষের মুখে এই কথা বসায়ে মানুষের মনে বিরোধীদলের বিরুদ্ধে ঘৃণা উৎপাদনের চেষ্টা করেছে। কোন পত্রিকায় টক শো তে এই আলাপ দেখছেন?
এমন একটা মিছা বয়ানের রাজনীতি কইরাও হাসিনা পার পাইয়া গেলো। কেউ কইলো না আরে ভাই ওই লোকটা তো বিয়াই করে নাই, ওর বৌ আসে কই থিকা, বাচ্চাই বা পয়দা হয় কেমনে?
আমরা ধ্বংসের আগুনের রাজনীতি নিয়া আলাপ করতে পারি না, কারণ আমাদের ভাষা। এই সমস্যা ইংরেজিতেও আছে।
এই কারণেই আগুন এবং রাজনীতি নিয়া আলাপ নাই। ভাষার কী সমস্যা? খুব সিম্পল কারণে ইংরেজিতে এবং বাংলাতে যেই আগুন উষ্ণতা দেয় আর যেই আগুন ধ্বংস করে এই দুইটা আলাদা করে বলা যায়না। দুইটাই ফায়ার বা আগুন। কোথাও বিপদজনক আগুন লাগলে আমরা চিৎকার করে বলি, “আগুন আগুন”, এভাবেই আমরা আগুনের ভয়াবহতাকে এক্সপ্রেস করি। কিন্তু আপনি তো চিৎকারটাকে তো লিখতে পারবেন না। আপনার যদি একটা ফেনোমেন কে বুঝানোর জন্য ভাষা না থাকে তাহলে আপনি সেইটাকে বুঝাবেন কীভাবে?
আমরা যখন শ্লোগান দিয়েছি জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো। এটা কোন আগুন, ধ্বংসের নাকি উষ্ণতার? এতো পাওয়ারফুল শ্লোগান ইতিহাসের বিচারে উত্তীর্ণ হতে পারেনি সম্ভবত এই কারণেই।
কিন্তু এরাবিকে আগুনের অনেক এক্সপ্রেসন আছে , উষ্ণতার জন্য যে আগুন তা
আগুন রাজনৈতিক। আপনি কাকে আগুন থেকে বাচাবেন আর কাকে পুড়তে দেবেন এটা রাজনৈতিক ভাবে নির্ধারিত। আপনি তখনই রিয়েলিটিকে বদলাতে পারবেন যখন আপনি তা এক্সপ্রেস করতে পারবেন। রাজনৈতিক আগুন যা ধ্বংস করে সেটাকে ভাষায় এক্সপ্রেস করতে না পারলে আমরা রিয়েলিটিকে বদলাতে পারবো না।
আরো সহজে বলি, আপনাকে চুরিকে চুরি বলে বুঝতে হবে। নইলে আপনি চুরি ঠেকাতে পারবেন না। হাসিনাকে চোর হিসেবে ডিফাইন করতে পারতে হবে, নইলে আপনি তাকে উৎখাত করতে পারবেন না।