সম্প্রতি বাংলাদেশের ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমনি আলোচনার শীর্ষে। কিছুতেই যেন আলোচনা থেকে তাকে বার করা যাচ্ছে না। সম্প্রতি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে এখন বাড়িতে আছেন। হঠাৎই নোটিশ আসে তার নগ্ন এবং অর্ধ নগ্ন ভিডিও এবং ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে ডিলিট করার। তবে এমন কোন ভিডিও বা ছবি পরিমনির মতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নাই। তাহলে হাইকোর্ট থেকে কেন এমন নোটিশ! এই ব্যাপারে এবার কথা বললেন পরীমনি, উল্টে অভিযোগ ও করলেন।
এবার অশ্লীলতার অভিযোগ ঢাকাই সিনেমার আলোচিত নায়িকা পরীমণির বিরুদ্ধে। তার জেরেই সোমবার সোমবার যৌথভাবে তাঁর ঠিকানায় নোটিশ পাঠিয়েছেন দুই আইনজীবী।
জানা যায়, ফেসবুকে তাঁর পোস্ট করা একাধিক ছবি ও ভিডিওকে অশ্লীল আখ্যা দিয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে নায়িকাকে। পাঠিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালতের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার এবং ঢাকা জজ কোর্টের আইনজীবী ইসমাতুল্লাহ লাকী তালুকদার। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ৩০ দিনের মধ্যে ফেসবুক থেকে ওই ধরনের ছবি ও ভিডিও সরাতে হবে পরীমণিকে।
যদিও নোটিশটি সোমবার রাত পর্যন্ত হাতে পাননি পরীমনি। তবে গণমাধ্যমে নোটিশের বিস্তারিত তিনি দেখেছেন। নোটিশ হাতে পেলে বেশ কয়েকটি পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান পরীমনি।
তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার পেজে এমন কোনো ভিডিও নেই যেটা আমাকে সরাতে হবে। কেউ যদি সেটা দেখিয়ে বলতে পারেন, আমি সরাব। ফাইভ স্টার হোটেলে আমি যে অনুষ্ঠান করেছি, সেখানকার কোনো ভিডিও বা স্টিল ছবি আমি ফেসবুক ছেড়েছি? আমার অনুমতি ছাড়া বাইরে থেকে এগুলো ছাড়া হয়েছে। কোথায় কে কোন ভিডিও দেখল, সেই ভিডিও আমার ঘাড়ে চাপাতে পারেন না।’
পাল্টা প্রশ্ন ছুড়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘ফেসবুক খোলার পর থেকে এ পর্যন্ত যেসব ভিডিও বা ছবি আপলোড করেছি, সেগুলো সবাই দেখেছেন। আমার ফেসবুকে কোথাও কি কোনো অশ্লীল ছবি আছে? যেসব ছবির ইঙ্গিত করে নোটিশ দিয়ে আমাকে সেগুলো সরাতে বলা হয়েছে, সেসব ছবি আমি আপ করেছি? আমার আপ করা এমন একটি ছবিও কেউ দেখাতে পারবেন? এর আগে হাতে সিগা’রেটসহ দুটি ছবি আদালত থেকে সরাতে বলা হয়েছিল, এক ঘণ্টার মধ্যে সরিয়েছি।’
ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পরীমনি বলেন, ‘সবাই আমার পেছনে লাগে কেন রে ভাই? জন্মদিনের অনুষ্ঠানের পর আমাকে অপমান করে যে ভিডিওগুলো বানানো হলো, অনুষ্ঠানের গান বাদ দিয়ে অশ্লীল গান জুড়ে ভিডিওগুলো ভাইরাল করা হয়েছে। এখন খেলা জমে যাবে। আমি উল্টো ওদের নামে অভিযোগ করব। আমার ব্যক্তিগত ভিডিও নিয়ে যারা অশ্লীল গান জুড়ে ভাইরাল করেছে, তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নেব।’
একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের নাম উল্লেখ করে পরীমনি জানান, চ্যানেলটি তাঁর বেশি ক্ষতি করেছে, তাঁকে অপমান করেছে। তিনি বলেন, ‘এমন একটি দায়িত্বশীল চ্যানেল আমার জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মূল গান বাদ দিয়ে অশ্লীল বাংলা গান জুড়ে ভিডিও প্রকাশ করেছে। কীভাবে করল এটা? তারা কী চায়? অনুষ্ঠানটি ছিল আমার ব্যক্তিগত, চার দেয়ালের মাঝে। আমার অনুমতি ছাড়া কেন আমার অনুষ্ঠানের ভিডিও প্রকাশ করা হলো? এখন যদি আমি তাদের নামে অভিযোগ করি, তাহলে এর বিচার করবে কে? আমি অবশ্যই ওদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলব।’
যদিও পরীমনি এখনো লিখিত কোন অভিযোগ করেনি। তবে তিনি অভিযোগ করবেন সেটা গণ মাধ্যমে বলেই দিয়েছেন। এখন দেখার বিষয় আদালত তার নির্দেশনার কোনো পরিবর্তন আনে কিনা। আর শেষ পর্যন্ত পরিমনির ভাগ্যে কী অপেক্ষা করছে। তবে সুস্পষ্ট তথ্য এবং আদালতের কার্যক্রম না দেখে এসব কিছুই এখন বলা সম্ভব হচ্ছে না।