দীর্ঘদিন ধরে নানা কু-প্রস্তাবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাজধানী ঢাকার ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে অশ্লীল বার্তা পাঠিয়ে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় অবশেষে ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী নামে ঐ প্রতিষ্টানের সহকারী এক অধ্যাপককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন র্যাব সদর দপ্তরের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান। এর আগে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ঐ ছাত্রী নিজেই।
এ ব্যাপারে ইমরান খান বলেন, হলি ফ্যামিলি মেডিকেল কলেজের এক শিক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির করার অভিযোগ ওঠে একই প্রতিষ্ঠানের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে ওই ছাত্রী একটি মামলাও করেছেন। সে মামলার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব ঐ চিকিৎসককে গ্রেফতার করেছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
এ বিষয়ে ওই ছাত্রী বলেন, আমার মেডিকেল কলেজের ফার্মাকোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. সালাউদ্দিন চৌধুরী গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ম্যাসেঞ্জারে আমাকে বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেয়। এতে রাজি না হওয়ায় আমাকে এক শিক্ষাবর্ষে অনেক বছর আটকে রাখবে বলে হুমকি দেয়। এরপর কলেজে বিভিন্নভাবে ডেকে আমাকে উনার দেওয়া ম্যাসেজ ফোন থেকে মুছে দিতে আর উনার সঙ্গে আলাদাভাবে দেখা করতে বলেন।
তিনি বলেন, এর আগে উনি আমাকে কলেজে প্রাইভেট পড়াবেন বলে দুই দফায় বিশ হাজার টাকা নেন, কিন্তু পড়াননি। পড়ার জন্য বারবার আমাকে তার বাসায় আসতে বলেন, যাতে আমি কখনই রাজি হইনি। এতে তিনি আরও ক্ষিপ্ত হয়ে যান। আমি আমার ও আমার পরিবারের মান-সম্মানের ভয়ে এতদিন কোনো পদক্ষেপ নিতে পারিনি। কিন্তু দিনে দিনে অবস্থা এতই খারাপ হয় যে, আমার কলেজে পড়ালেখা চরম হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এখন তিনি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন দিয়ে আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন। আমি এরই মধ্যে উত্তরা পশ্চিম থানায় এই মর্মে একটা জিডি দায়ের করেছি। পরবর্তীতে গতকাল নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে রমনা থানায় মামলা করি।
আর ঐ মামলার আলোকে এরই সালাউদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে হেফাজতে নিয়েছে র্যাব। তার বিরুদ্ধে আসা এ অভিযোগে প্রেক্ষিতে এরই মধ্যে তদন্ত শুরু করেছেন কর্মকর্তারা। এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে কঠোর শাস্তির আওতায় আনার দাবি করেছেন অনেকেই। যাতে পরবর্তীতে আর কেউ যেন, এ ধরণের কাজ করার সাহস না পায়।