চলতি বছরের জুনে অসহযোগিতা ও অসদাচরণের অভিযোগে অভিনেত্রী জেবা জান্নাতকে নিষিদ্ধ করে ডিরেক্টরস গিল্ড। প্রতারণার মামলায় আদালত অভিনেত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
বিষয়টি ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। গণমাধ্যম জানিয়েছে, জেবা জান্নাতের ছবি ব্যবহার করায় অভিনেত্রীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
কিন্তু এই শাস্তি কতটা সত্য? জেবা জান্নাতের কি সত্যিই তিন বছরের জেল হয়েছে?
ঘটনার সত্যতা জানতে দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম পক্ষ থেকে জেবা জান্নাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে অভিনেত্রী বলেন, ঘটনাটি সত্য নয়।
জেবা জান্নাত জানান, খবরে জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীন নামটি ব্যবহার করা হয়েছে। আমার নাম জেবা জান্নাত। তা ছাড়া আমার আর কোনো নাম নেই। নিউজে উল্লেখিত নারী আমি নই। যারা সংবাদে আমার ছবি ব্যবহার করেছে তাদের বিরুদ্ধে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নেব। কারণ, এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না যে, তারা অজান্তে ভেরিফাইড মিডিয়ার খবর দেবে।
অভিনেত্রী আরও বলেন, এই জেবা চৌধুরী কে তা তাদের খুঁজে বের করা উচিত ছিল। তারা আমার ছবি গুগলে সার্চ করেছে। তারা আমার ছবি আপলোড করে নিউজ করেছে।বিষয়টা খুব খারাপ তাই না। আমি বুঝতে পারছি না কেন সবসময় আমাকে নিয়ে কেন এতো নিউজ হচ্ছে।
জানা যায়, জালিয়াতির মাধ্যমে আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় জেবা চৌধুরী জয়া ওরফে ফরিদা পারভীন নামের এক নারীকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মুজাহিদুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বুধবার (৩০ আগস্ট) ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুব হাসান রানা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওই মামলার অভিযোগে বলা হয়, জেবা চৌধুরী বাদীর কাছে ৭ লাখ টাকায় একটি গাড়ি (প্রাইভেট কার) বিক্রি করেন। ২০২২ সালের ২০ মার্চ চুক্তির মাধ্যমে সব টাকা গ্রহণ করেন জেবা চৌধুরী।
তবে গাড়ির কাগজপত্র হালনাগাদ না হওয়ায় গাড়ি হস্তান্তর করেননি জেবা। চুক্তিতে বিআরটিএ থেকে সব কাগজপত্র ঠিক করে ১৫ দিনের মধ্যে গাড়ি হস্তান্তর করার কথা থাকলেও বিবাদী বাদীর টাকা নেওয়ার পর গাড়িটি হস্তান্তর করেনি।
পরে ২০২২ সালের ৮ মে বাদী জালিয়াতি ও আত্মসাতের অভিযোগে আদালতে মামলা করেন। মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। জামিনে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন।