অতিরক্ত পান জর্দা খাওয়ার কারণে জীবন আশংকাজনক শুকুর আলীর। তার দুটি সন্তান রয়েছে রয়েছে স্ত্রী ও। পরিবারের একমাত্র আয়ক্ষম ব্যক্তি শুকুর আলী। যদি তার সাথে খারাপ কোন কিছু হয় তাহলে পুরো পরিবার পথে গিয়ে দাঁড়াবে। এমতাঅবস্থায় শুকুর আলীর সংবাদ মাধ্যমে নিজের সন্তানও পরিবারের জন্য নিজের প্রাণ বাঁচাতে আকুতি করে সারাদেশের মানুষের কাছে সাহযোগীতা চাইছেন।
অতিরুক্ত চুন পান করার ফলে জিভের নিচে ঘা। এর জন্য কিছু ওষুধ খেয়েছেন। কিন্তু এটা বাড়তেই থাকে। পরে স্থানীয় লায়ন্স হাসপাতালে গেলে তারা আমাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
দিনাজপুর জেনারেল হাসপাতালের ডা. চিকিৎসার পাশাপাশি আলমগীর বায়োপসি পরীক্ষাও করেন। একটি বায়োপসি পরীক্ষা ক্যান্সারের উপস্থিতি প্রকাশ করে। এটি গ্রেড-৩ পর্যায়ে রয়েছে।
চিকিৎসকরা অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন। খরচ হবে ৪-৫ লাখ টাকা। তবে এত টাকা জোগাড় করে কাপড়ের কলে কাজ করা এই শ্রমিকের পক্ষে খুবই কঠিন। শুকুর আলী এ জন্য বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেন।
শুকুর আলীর বাড়ি দিনাজপুরের পার্বতীপুর পৌরসভা এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের রোস্তমনগর এলাকায়।
তিনি বলেন, ডাক্তার বলেছেন অপারেশন করলে ভালো হবে। এর জন্য ৪-৫ লাখ টাকা লাগবে। এত টাকা কোথায় পাব? আমি একটি টেক্সটাইল মিলে কাজ করি, কোন সঞ্চয় নেই। তাই আমরা ঢাকায় এসেছি। আমি বাঁচতে চাই আমার দুটি ছোট বাচ্চা আছে। আমি না বাঁচলে ওদের মানুষ বানাবে কে? তাদের কে দেখবে?
শুকুর আলীর দুই সন্তান। বড় ছেলে নিশাত পঞ্চম ও ছোট ছেলে তানজিদ চতুর্থ।
স্ত্রী মনোয়ারা বেগম তিথি জানান, স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় এসেছেন। ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আসার সময় ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন। পরীক্ষা করতে গিয়ে সব টাকা প্রায় শেষ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, অপারেশনের জন্য ৪-৫ লাখ টাকা লাগবে। কিন্তু এত টাকা আমরা পাব কোথায়? আমি আমার স্বামীর অসুস্থতা এবং তার দুই সন্তান নিয়ে খুব চিন্তিত।
পার্বতীপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কমিশনার রোস্তম আলী জানান, এলাকার লোকজনের সহযোগিতা চেয়ে আপাতত কিছু টাকা ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। সেটা খুবই সামান্য। এখন শূকরটির চিকিৎসার জন্য প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব নয়।
ডাঃ শুকুর আলী বর্তমানে ঢাকা ডেন্টাল কলেজ হাসপাতালের ওরাল ও ম্যাক্সিলোফেসিয়াল বিভাগে কর্মরত। নুসরাত নুইরির তত্ত্বাবধানে ষষ্ঠ তলার ১৪ নম্বর বেডে ভর্তি হন।
শুকুর আলী কে সাহায্য করার জন্য এই পর্যন্ত অনেকেই এগিয়ে এসেছেন। তবে এটা যথেষ্ট নয় বলে জানিয়েছেন ডাক্তার। চিকিৎসার জন্য আরও অর্থের প্রয়োজন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছেন অনেকেই। আর একটু সহযোগিতা পেলে হয়তো তার জীবন বাঁচতে পারে।