কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, “আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ড. কামাল হোসেনকে নেতা হিসেবে মেনে সবার পরে তার পেছনে গিয়েছিলামতিনি বিএনপির সঙ্গে জোট করেছেন। কিন্তু তিনি বড় নেতা নন। আমি যেমন সবার পরে জোটে গিয়েছিলাম, তেমনি নির্বাচনের এক মাস পর আমি জোট ছেড়ে দিয়েছি।
জোট ছেড়েছি এ জন্য যে, আমার নির্বাচন করেছিল। সে যদি বিএনপি জোটের কয়েকজন নেতার মতো নির্বাচিত হয়ে এই সংসদে যেত, তাহলে আমার সম্মান থাকত না।
মঙ্গলবার বিকেলে টাঙ্গাইলের সখীপুরে দরিয়াপুর ইউনিয়ন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, জিয়াউর রহমান মুক্তিযোদ্ধা নন এটা আমি মানি না। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী বলছেন, জিয়াউর রহমান নাকি বঙ্গবন্ধুকে খুন করেছেন, জড়িত ছিলেন, অথবা জানতেন। এসব মুখে না বলার চেয়ে মামলা দিয়ে সাক্ষ্য-প্রমাণে মরণোত্তর ফাঁসি দিলেও আমার কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু মুক্তিযোদ্ধা নন, পাকিস্তানিদের এজেন্ট- বলে মুক্তিযোদ্ধাদের হেয় করা ঠিক নয়।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির ভাইয়েরা হওয়া ভবন বানিয়েছিল; কিন্তু আওয়ামী লীগও খাওয়া ভবন কম বানায় নাই। একবারের জন্যও বিএনপি বলেনি হাওয়া ভবন করা আমাদের ভুল হয়েছে, অন্যায় হয়েছে, মাফ চাই।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তারা নাকি খুবই জনপ্রিয়, আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী হবেন। আচ্ছা, হয়ে দেখান। ইয়াহিয়া খানও তো চেয়েছিলেন; কিন্তু বাংলার মাটি পায় নাই, পায় নাই।
বাংলার মানুষের ইচ্ছা ও মতামত ছাড়া বাংলার মাটি কেউ পাবে না। জো বাইডেনের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মেয়ের সেলফি নিয়ে বেশি কিছু বলার নেই, আগামীকাল তো একসঙ্গে ভাত খাবেন। তাই এসব নিয়ে কথা না বলে দেশকে নিয়ে কথা বলুন, দেশের চাউলের দাম কত, পেঁয়াজের দাম কত, ডালের দাম কত তা নিয়ে কথা বলুন। একজন আছে ক্ষমতায় থাকবার, আরেকজন আছেন ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টায়।’