১৪ দলীয় জোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও বরিশাল-২ আসনের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেছেন, জোটের শরিক দলের বড় নেতারা নির্বাচিত না হওয়ায় ১৪ দলের কোনো রাজনৈতিক ইমপ্যাক্ট হবে আমি মনে করি না। হ্যাঁ হবে- ক্ষতিগ্রস্ত হবে সম্পর্ক। কিন্তু রাজনৈতিক একেবারে ওলটপালট হবে এটা মনে করছি না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটের করুণ পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে সোমবার বিকেলে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার বাহেরচরে নিজ বাড়িতে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মেনন বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ১৪ দলীয় জোটের নেতা হাসানুল হক ইনু ও আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পরাজিত হয়েছেন এতে ১৪ দলীয় জোটে দলগত ভাবে যতখানি না অসুবিধা হচ্ছে তার চেয়ে বড় কষ্ট হচ্ছে ওইসব আসনে স্থানীয়ভাবে যে আন্ডারস্ট্যান্ডিং হওয়ার কথা আওয়ামী লীগের সঙ্গে, অথবা নৌকার কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে, সেই আন্ডারস্ট্যান্ডিং টা সেভাবে হয়নি বলে আমার ধারণা। সে কারণেই খুব আনফরচুনেটলি তারা হেরে গেছেন। তাদের পরাজয় এটাই প্রমাণ করে এবার কোনো পাঁতানো নির্বাচন হয়নি। জনগণ পছন্দমতো প্রতিনিধি বেছে নিয়েছে।
১৪ দলীয় জোটের ভবিষ্যৎ পরিণতি সম্পর্কে জানতে চাইলে রাশেদ খান মেনন বলেন, আগামী এক মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। সংসদের অবস্থা কী হবে, সংসদের চেহারা কী হবে, বিরোধী দল কারা হবে, সেই প্রশ্নগুলো আসবে। সেগুলোর পরই স্থির হবে ১৪ দল কেন, সমস্ত রাজনৈতিক সমীকরণ কী দাঁড়াবে সেটার ওপর নির্ভর করবে।
মেনন আরও বলেন, আমি এখনও মনে করি ১৪ দল রাজনীতিতে প্রাসঙ্গিক। সামনে যে সংকট সমস্যাগুলো রয়েছে তাতে ১৪ দলের প্রয়োজনীয়তা আছে এবং থাকবে।
১৪ দলীয় জোট ভাঙার গুঞ্জন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তা মনে করি না। যারা বলছেন তারাও বিশ্বাস করবেন বলে মনে হয় না।
সকল প্রতিকূলতা ও সব ধরনের অপপ্রচার মোকাবেলা করে শান্তিপূর্ণ ও সফল নির্বাচন সম্পন্ন করায় দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানান ১৪ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা।
তিনি বলেন, আমি ১৯৭৩ সাল থেকে নির্বাচন করে আসছি। আমার নির্বাচনী অভিজ্ঞতায় এমন নিরপেক্ষ নির্বাচন আমি খুব একটা দেখিনি।