মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২ টা ৩০ মিনিটের দিকে রাজধানী ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলে ৮৭ বছর। এদিকে বিভিন্ন নেতাকর্মীর পাশাপাশি রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভির শোক প্রকাশ করে পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এই প্রত্যক্ষ সাক্ষী যেসব ইতিহাস গ্রন্থিত করেছেন তা বাংলা সাহিত্যের জন্য অমূল্য সম্পদ। নজরুল গবেষণায় ড. মো. রফিকুল ইসলামের অবদান অনন্য। বিশিষ্ট এই গুণী লেখক ও গবেষকের সাহিত্য কর্ম বাঙালি জাতিকে সবসময়ই মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি মনেপ্রাণে জাতির পিতার আর্দশকে ধারণ ও লালন করতেন এবং মুজিববর্ষের নানা আয়োজন সফল করতে দক্ষতার সাথে কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। বাংলা সাহিত্য ও গবেষণায় তিনি একজন উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে বেঁচে থাকবেন।
সরকার প্রধান আরো বলেন, তার মৃত্যুতে আমি আমার শিক্ষক, গুরুজন ও অভিভাবককে হারালাম। বিভিন্ন জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আমার প্রিয় শিক্ষকের উৎসাহ ও প্রেরণা আমাকে সাহস জুগিয়েছে এবং এগিয়ে যেতে শক্তি দিয়েছে।
এদিকে জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন পরিবার-পরিজজন। তাকে হারানোর শোক কোনো ভাবেই মেনে নিতে পারছে না কেউ। ভাষা আন্দোলনে তার অবদান কোনো দিনও ভোলার নয়। আর তাই বাংলার মানুষের কাছে আজীবন অমর হয়ে থাকেন রফিকুল ইসলাম।