ইন্দোনেশিয়ার বালিতে যাওয়ার জন্য ফ্লাইটের টিকিট কিনতে গিয়ে পাগল হয়েছিলেন অ্যাম্বার ডাইনেস উঙ্গার নামের একজন অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক। লোকটি, যে স্কুল ছুটিতে যেতে চেয়েছিল, তাকে বালিতে রিসর্টে যাওয়ার জন্য বিমান ভাড়ায় ৪০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার বের করতে হয়েছিল।
উঙ্গার বলেছিলেন যে তার পরিবারের চার সদস্যের ভ্রমণ ব্যয় ৬ ,০০০ অস্ট্রেলিয়ান ডলার ছাড়িয়ে যাবে। তাই ছুটি নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করতে বাধ্য হন তিনি।
“আমাকে আমার কিডনি বিক্রি করতে হবে,” উঙ্গার ব্যয়বহুল ভ্রমণ সম্পর্কে বলেছিলেন। “আমরা হাইপারইনফ্লেশনে আছি,” তিনি বলেন। তাই আমি জানি এটা আরো খরচ হবে. কিন্তু ছয় ঘণ্টার ফ্লাইটের খরচ এত বেশি হবে যে কোনো অবস্থাতেই তা সমর্থন করা যাবে না।’
করোনাভাইরাসের পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় বিমান ভ্রমণের খরচ দ্বিগুণ হয়েছে। আর এর জন্য দায়ী করা হচ্ছে অস্ট্রেলিয়া সরকারের রক্ষণশীল নীতিকে।
অস্ট্রেলিয়া গত মাসে ফ্লাইট বাড়ানোর একটি বিদেশী এয়ারলাইন্সের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করেছে। ফলে বিমান ভ্রমণের খরচ কমার সম্ভাবনাও ক্ষীণ হয়ে পড়েছে।
অস্ট্রেলিয়া সরকারের দাবি, দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দেশটির পরিবহন মন্ত্রণালয়ের দাবি, এভিয়েশন সেক্টরে চাকরির নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু সারাকের সিদ্ধান্ত সাধারণ অস্ট্রেলিয়ানদের জন্য বাজি ধরেছে। প্রতিযোগিতা কমে যাওয়ায় বিমান ভাড়ায় তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।