বাংলাদেশের অনেক নারীর রয়েছে যারা মান-সম্মানের ভয়ে নিজেদের অপদস্ত হওয়ার বিষয়টি কাউকে বলতে চায় না। তবে আজকের ঘটনাটি একদমই ভিন্ন, কারণ মান-সম্মানের তোয়াক্কা না করে অবশেষে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনা তুলে ধরেছেন এক নারী।
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলায় মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক গৃহবধূ। রোববার (৭ আগস্ট) সকাল ১১টায় দেবহাটা রিপোর্টার্স ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উপজেলার দেবীশহর গ্রামের ফারুক হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন সুলতানা।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, আমার চাচাতো ভাই দেবর আরিফ হোসেন গং এর সাথে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ ব্যাপারে আরিফ বাদী হয়ে বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারায় পি-৯৭/২২ (দেব) মামলা দায়ের করেন। 13 জানুয়ারী। মামলার পর আরিফ আমাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করতে থাকে এবং খারাপ পরামর্শ দিয়ে হুমকি দেয়। আমার একটি মেয়ে থাকায় আমি আমার স্বামীকে আমার মর্যাদার কথা জানিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হলে আবারও আমাকে ও আমার পরিবারের ক্ষতি করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মালেক কারিকরের ছেলে আরিফ হোসেন ও আলমগীর হোসেন, আরিফের বাবা মালেক কারিকর, আরিফের মা মনজিলা খাতুন ও আমানত কারিকারের ছেলে আকবর কারিকর ষড়যন্ত্র করে বিভিন্ন অস্ত্র সহ আমার স্বামী ফারুক ও শ্বশুর আব্দুল খালেককে মারধর করে । এ সময় আমি ও আমার শাশুড়ি বাধা দিতে গেলে তারা আমাদেরও মারধর করে।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আহত অবস্থায় আমার শ্বশুর আব্দুল খালেককে সখীপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। পরে থানার এএসআই শামীম থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে মামলা রেকর্ড করার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে ৮ হাজার টাকা নেয়। যদিও পরবর্তীতে আসামীদের কাছ থেকে অধিক সুবিধা নিয়ে উল্টো তারা দেবহাটা থানায় আমাদের নামে মিথ্যা মামলা দায়ের করে এবং আমার স্বামী ও দেবরকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
গৃহবধূদের দাবি, বর্তমানে আমরা দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছি। বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছি।
ভুক্তভোগী এই নারীর করা সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমসহ এলাকার অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত হয়েছেন। তারা ওই নারীর সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ওই নারীকে ন্যায়বিচার পাওয়ানো জন্য গনমাধ্যম দ্বারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জানিয়েছে, আমরা এ মামলার এখনো তদন্ত করছি। যদি অভিযুক্তর অপরাধ প্রমাণিত হয় সে ক্ষেত্রে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।