আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতার আসার পর বিগত দিনের থেকে ভারতের সাথে অকৃত্রিম বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু প্রকৃত কি তায় এটি অনেকের প্রশ্ন। কারন ভারত থেকে যে পরিমান পন্য দ্রব্য বাংলাদেশে আমদানি করা হয় সে তুলনায় রপ্তানি অপ্রতুল। বর্তমান বিশ্ব অর্থনৈতিক মন্দাসহ নানা কারনে বাংলাদেশের রিজার্ভ সংকট তৈরী হয়েছে। যার কারনে আমদানির ক্ষেত্রে নিজস্ব মূদ্রা ব্যবহার কথা শুনা যায়। এ বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পিনাকী ভট্টাচার্য পাঠকদের জন্য সেটি তুলে ধরা হলো।
বাংলাদেশ ভারতে যা রপ্তানি করে তার চাইতে আমদানি করে কয়েক গুণ বেশি। ইন্ডিয়ান রুপি বা টাকায় যদি পেমেন্ট সেটেলমেন্ট করতে হয় তাহলে রুপির ব্যবহার হবে কয়েক গুণ বেশি। মূলত ইন্ডিয়ান রুপি হয়ে উঠবে বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যের বিনিময় মুদ্রা। এ কথাটাই আমি কিছুদিন আগে আলোচনা করেছিলাম একটা ভিডিওতে। আমার আশঙ্কাই তাহলে সত্যি হতে যাচ্ছে। এই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে পাকিস্তানের রিজার্ভ ৮ বিলিয়ন ডলার। এ সত্ত্বেও পাকিস্তানের নীতি নির্ধারকরা বলছেন তাদের দেউলিয়া হয়ে যাবার কোন সম্ভাবনা নেই। তাহলে বাংলাদেশের ৩৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকতেও স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা শ্রীলংকার পর্যায়ে গণ্য করল? এর তো কোন অর্থনৈতিক জাস্টিফিকেশন নেই। হতে পারে স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার এই সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে ইন্ডিয়ান রুপি-বলয়ের অধীনস্থ করার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনার প্রথম দৃশ্যমান পদক্ষেপ। অথবা এটাও হতে পারে যে বাংলাদেশ ব্যাংক চীন-বাংলাদেশ বাণিজ্যের ক্ষেত্রে চীনা মুদ্রা ইউয়ান ব্যবহারের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, এটা তারই বিরুদ্ধে একটি প্রতিক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, ভারতে সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুপূর্ণ হলেও স্বার্থের ব্যাপারে ভারত কখনো ছাড় দেই না এটি নতুন কিছু নয়। সে ক্ষেত্রে ভারত বাদে অন্য দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ভালো হলে সেটি ভারত কখনো মানতে পারে না বলে মন্তব্য করেন পিনাকী ভট্টাচার্য।