Saturday , November 23 2024
Breaking News
Home / National / আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই, ছেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী

আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই, ছেলের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করলে কিছু আসে যায় না: প্রধানমন্ত্রী

আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার ছেলেও এখানে আছে। সে ব্যবসা-বাণিজ্য করছে, বিয়ে করেছে, তার মেয়ে আছে, সম্পত্তি আছে, বাড়িঘর আছে। যদি বাতিল করে, করবে। তাতে কিছু আসে যায় না। আমাদের বাংলাদেশ তো আছেই।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘের বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। বাংলাদেশের বাইরে থেকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করলে এদেশের জনগণ সেই ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে অনুমোদন দেবে।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতিমালার আবেদনের ঘোষণায়ও বিরোধিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবার আর বিএনপিকে উসকানি দিতে পারবে না। এতে মানুষের জীবন বাঁচবে।

সরকারপ্রধান বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল আর কে দিল না তাতে কিছু যায় আসে না। আমার ছেলেও এখানে আছে। তিনি ব্যবসা করেন, তিনি বিবাহিত, তার একটি মেয়ে আছে, তার সম্পত্তি আছে, তার একটি বাড়ি আছে। বাতিল হলে হবে। এটা কোন ব্যাপার না. আমাদের বাংলাদেশ আছে।

তিনি বলেন, যারা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন, তাদেরও নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। ভিসা নীতির মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে টার্গেট করা হলে বলার কিছু নেই। কারো ক্ষমতায় বিশ্বাস করে ক্ষমতায় আসিনি। আমি ক্ষমতায় এসে জনগণের ওপর নির্ভরশীল।

তিনি আরও বলেন, তারা যদি শুধু আওয়ামী লীগকে টার্গেট করে তাহলে আমার কিছু বলার নেই। তবে মনে রাখতে হবে আমি কারো ক্ষমতায় আসিনি। জনগণের শক্তিতে ক্ষমতায় এসেছি।

প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন রেখে বলেন, যারা ভোটের স্বচ্ছতার কথা বলছেন, ২০০১ সালের নির্বাচনের সময় তারা বা সামরিক শাসকরা কোথায় ছিলেন?

শেখ হাসিনা বলেন, ‘স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স, ছবিসহ ভোটার তালিকা, ভোটের অধিকার সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা- এগুলো আমরা করেছি। ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে চাই তাকে দেব’- এই স্লোগানটি আমার দেওয়া। ভোট ও ভাতের অধিকারের জন্য আন্দোলন করেছি।

সরকার প্রধান সাফ জানিয়ে দেন, ক্ষমতায় আসার একমাত্র উপায় নির্বাচন। গোলমাল করে অবৈধভাবে আসতে চাইলে শাস্তি ভোগ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণকে দেয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। বিএনপি-জামায়াত আমলের মতো দুর্নীতি হয়নি বলেই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেন, যারা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। .

এতে আরও বলা হয়, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারী ব্যক্তি ও সুবিধাদাতাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞার কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও বিরোধী রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ আয়োজনে সমর্থন অব্যাহত রাখতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

About Zahid Hasan

Check Also

যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সেন্টমার্টিন লিজ দেওয়ার বিষয়ে যা জানালেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি গুজব ছড়িয়েছে যে অন্তর্বর্তী সরকার সেন্টমার্টিন দ্বীপকে লিজ দিচ্ছে। তবে প্রধান …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *