Friday , September 20 2024
Breaking News
Home / opinion / আমাদের প্রধান শত্রু ভারত,আর আওয়ামীলীগ এখন ভারতের হাতের পুতুল:সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিশাল স্ট্যাটাস

আমাদের প্রধান শত্রু ভারত,আর আওয়ামীলীগ এখন ভারতের হাতের পুতুল:সাবেক সেনা কর্মকর্তার বিশাল স্ট্যাটাস

বাংলাদেশ আর ভারত পাশাপাশি দুটি মিত্র দেশ। আর শুরু থেকেই ভারত বাংলাদেশ রয়েছে বেশ বন্ধ সুলভ ভাবে। তবে ভারতের সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সম্পর্ক আরো বেশি গভীর সেই শুরু থেকেই। সম্প্রতি এ নিয়ে একটি বিশেষ লেখনী লিখেছেন বাংলাদেশের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তার সেই লেখনী তুলে ধরা হলো হুবহু:-

আত্মকথন-২

আচ্ছা, গুম খুন না হয় প্রধান কারণ (কীসের কারণ??) যা সীমিত জনগণ দেখছে, আর কোন কারণ নেই?

আছেতো! ব্যাংকের টাকা লোপাট জনগণ দেখেনি? বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা হ্যাকিং, সেখানে ভারতীয় আইটি কম্পানীর সংশ্লিষ্টতা পরবর্তী তার তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করা জনগণ দেখেনি?

থানা পর্যায়ের আওয়ামীলীগ নেতার ২০০০ কোটি টাকা লোপাটের সংবাদ পাবলিক জানেনি?

রাজনৈতিক নেতৃত্বের সহায়তায় শেয়ার ব্যবসায় ধস্ নামিয়ে জনগনের টাকা আত্মসাৎ ঘটনা আমরা দেখিনি?

বাংলাদেশের আপোষহীন রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের বিনা চিকিৎসায় জেলে মারতে দেখিনি বা তাদের অবৈধ ভাবে ভারতে আবির্ভূত হতে দেখিনি?

২৫/২৬ ফেব্রুয়ারীতে ৫৭ জন বাংলাদেশী হত্যার পর ভারতীয় সংশ্লিষ্টতার আলামত দেখার পর পূর্নাংগ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ না করতে দেখিনি? বা আওয়ামী নেতৃত্ব/পারিবারিক সদস্যদের খুনীদের সাথে আগে বৈঠক করতে দেখিনি?

পাকিস্তানীরা সরকারের উচ্চপর্যায়ে আমাদের পদোন্নতি দিত না, তাইতো? আপনি এখন সরকারের প্রতিটি সেক্টরে বিশেষ করে পুলিশবাহিনীতে উচ্চ পর্যায়ে ৯০% মুসলমানের দেশে সরকারী ওয়েব সাইটে কত পার্সেন্ট হিন্দু ধর্মাবলম্বী আছে দেখে আসুন! নিদেনপক্ষে রংপুরের হিন্দু গ্রামে নির্যাতনের পর সেখানকার কেন্দ্রীয় সরকারী পদে কে কে আছেন তা তো দেখেছেন! মেধার ভিত্তিতে পদোন্নতি হলে ৯০% মুসলিম দেশে ৫০%_৭০% হিন্দু ধর্মালম্বীর কেন্দ্রীয় পদে আসার কথা নয় কিন্তু! এই সরল অংক বুঝতে পারার জন্য আমাদের রকেট সায়েন্টিস্ট না হলেও চলবে!

আমরা আওয়ামীলীগ সরকারকে প্রতিটি সেক্টরে কথিত বন্ধু ভারতের সাথে অসম চুক্তি বা স্বল্প/নাম মাত্র মূল্যে ট্রানজিট সহ অন্যান্য সুবিধা দিতে দেখিনি? অপরদিকে, আমাদের প্রয়োজনের সময় তাদের বিভিন্ন আমদানী পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বা আমদানী বন্ধ করতে দেখিনি? এই সরকার যে ভারতের সাথে নতজানু পররাষ্ট্রনীতিতে চলছে তাতে কোন সন্দেহ আছে কারো? সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক নিরীহ বাংলাদেশীদের খুন হওয়া কী বন্ধ হয়েছে? উল্টো বিজিবি প্রধানকে বিএসএফের পক্ষে ওকালতি করতে দেখেছি!

আমরা বোবাকালা হয়ে থেকে উপরের কিছুই যদি না দেখে থাকি তবে অন্তত আওয়ামীলীগ কর্তৃক জনগনের ভোটাধিকার হরণ করতেতো দেখেছি, রাইট?

আপনি কী এই দীর্ঘ ড্যাশ এর সময়ে আপনার শত্রু চিহ্নিত করতে পেরেছেন?

আপনার ভোটাধিকার সরকার হরণ করেছিল, তাই না? সরকার এই ভোটাধিকার হরণ করছে কাদের মাধ্যমে? উত্তর হলো- প্রশাসন! এই প্রশাসন কারা? ডিসি, এসপি, বিজিবি এমনকি সেনাবাহিনী পর্যন্ত! এরাতো আপনার ভাই ব্রাদার, তাইনা? জ্বী, ঠিকই ধরেছেন। একাত্তরের রাজাকার, আলবদর, আল সামস বাহিনী আপনার ভাই ব্রাদারই ছিল।

তাহলে কি এরাই আমাদের শত্রু? আস্ক ইয়োরসেল্ফ প্লিজ!

আওয়ামীলীগ সরকার ঐতিহাসিকভাবে ভারতের বন্ধু। ১৯৭১ সালে ভারত আমাদের সহায়তা করেছিল পাকিস্তানকে ভেংগে দূর্বল করার জন্য আর আমরা এর বেনিফিশিয়ারী। এটাই সবচেয়ে বিশ্বাসযাগ্য ব্যাখ্যা যে রাজনৈতিক অংগনে কেউ কারও স্হায়ী বন্ধুও নয় আবার স্থায়ী শত্রুও নয়। কিন্তু আওয়ামীলীগ এখন ভারতের হাতের পুতুল! ভারত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে জাতিসংঘে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কথা বলাতে পারে। বিডিআর কার্নেজের পর থেকে আওয়ামীলীগ কেমন যেন প্রতিবেশী রাস্ট্রের স্ট্যাটাস থেকে ধীরে ধীরে ভারতের অংগ রাজ্যের মত আচরণ করছে! এখন ভারত আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সকল পোস্টিং নিয়ন্ত্রন করে। ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী তাদের নিজস্ব সেল আমাদের গোয়েন্দা সংস্হার গোচরে বা অগোচরে ব্যবহার করে (এখন পর্যন্ত কুমিল্লায় পূজার প্রতিমায় কোরান শরীফ রাখা ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্হার এ দেশের সেলের লোকজন দিয়ে করিয়েছে বলে জানা গেছে। এটি করা হয়েছে, ভারতের নির্বাচন প্রচারণায় সহায়তার জন্য; যা শেখ হাসিনার কথাতেও বোঝা যায়)। এই পরিস্হিতিতে আমরা কি স্বাধীন দেশে বাস করি প্রমাণ হচ্ছে? ভারতের প্রেসক্রিপশনে এখন প্রতিটি সেক্টরে অসৎ ব্যক্তিদের প্রোমোশন দিয়ে নির্বাহী দায়ীত্ব দেয়া হচ্ছে! জেনারেল আজিজের মত অফিসারকে সেনাপ্রধাণ বানানোর পর এটা স্পষ্ট; কারণ একটাই- সৎ ব্যক্তিকে নির্বাহী দায়িত্ব দেয়া হলে সে অন্যায় আদেশ পালন করবে না। তাই ভারতের প্রেসক্রিপশনে আমাদের প্রতিটি সেক্টর ধ্বংসের মুখে। আমাদের শিক্ষা বিভাগের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়।

তাহলে, আমাদের শত্রু কে?

জ্বী, ঠিক ধরেছেন!

ভারত আমাদের শত্রু। এই শত্রুর বন্ধ হচ্ছে আওয়ামিলীগ আর তারা রাস্ট্রযন্ত্রের সহায়তায় আমাদের গনতন্ত্র কেড়ে নিয়েছে।

দেশে গনতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে; এটা শেখ হাসিনা বা খালেদা জিয়ার নিজস্ব গনতন্ত্র নয়, অরিজিনাল ক্লিস্টেনিসের এথেনিয়ান ডেমোক্রেসী! আমরা পাঁচ বছর পর পর ভোট দিয়ে আমাদের নেতা নির্বাচন করতে চাই।

আমাদের এখন কি করা উচিত?
চলবে…………………

প্রসঙ্গত, আওয়ামিলীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই ভারতের সাথে সম্পর্ক গভীর হয়ে থাকে আরো বেশি। আর এই কারণেই এই ভারত আওয়ামিলীগ নিয়ে সব সময় চলে থাকে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা।

About Rasel Khalifa

Check Also

বাঁধন নৌকার লোক বলে কঠিন পরিণতি ভোগ করতে হইতো: পিনাকি

ছাত্র আন্দোলনে তারকাদের মধ্যে প্রথম সারিতে ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। তিনি আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *