মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বাংলাদেশের খুব সুপরিচিত একজন মানুষ। তিনি বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন প্রবীণ রাজনীতিবীদ এবং সেই সাথে দলটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। মির্জা ফখরুল দীর্ঘদিন ধরে এই পদে নিয়োজিত রয়েছেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বিএনপিকে আর ছাড় দেবে না।
দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পুলিশ ও আওয়ামী লীগ বিএনপিকে কোনো ছাড় দেবে না। তিনি বলেন, আমাদের বিভ্রান্ত হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সরকার কোনো ছাড় দেবে না এমন প্রশ্নই ওঠে না। জনগণের শক্তি দিয়ে ছাড় পেতে হবে।
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে বাংলাদেশ ছাত্র ফোরাম ও উত্তরাঞ্চল স্টুডেন্ট ফোরামের যৌথ আয়োজনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপি এবার কোনোভাবেই পরাজিত হবে না উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এবার জিততেই হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। কারণ ভোলার নারায়ণগঞ্জে নূর আলম, আব্দুর রহিম ও শাওনের আত্মত্যাগ বৃথা যেতে দেওয়া যাবে না।
নারায়ণগঞ্জে পুলিশের গু/লিতে প্রয়াত রাজা আহমেদ শাওন যুবদলের কর্মী বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
শাওন প্রাণনাশের বিষয়ে তিনি বলেন, ওই রাতেই এসপি বলেন, এটা কার ছেলে, কোন দলের ছেলে, কী ছিল- তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। কিন্তু তার চাচা আওয়ামী লীগের ড. আমরা স্পষ্ট করে বলেছি যে তিনি কোন দলের সদস্য তা কোন ব্যাপার না। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল তিনি একজন কর্মী। কি ব্যাপার আপনি তাকে গু/লি করে মেরে ফেলেছেন। গুরুত্বপূর্ণ হলো, সেখানে শুটিংয়ের কোনো পরিবেশ তৈরি হয়নি। প্রতিটি বিষয়ের একটি আইন আছে। আমরা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, শাওন অবশ্যই একজন যুব কর্মী ও নেতা। শাওন নিশ্চয়ই বিএনপিকে সমর্থন করেছেন এবং কাজ করেছেন।
সরকার বিএনপির আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সাবধানে নিতে হবে। আমরা যাতে নতুন কোনো ষড়যন্ত্রে না পড়ি এবং তাদের (সরকারকে) আমাদের দমন করার কোনো সুযোগ না দিই, সেদিকে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।
এত সহজে মুক্তি পাওয়ার কথা উল্লেখ না করে তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি মুক্ত হব এমন কোনো সহজ সমাধান নেই। এই লড়াই লড়তেই হবে। আমাদের বয়স অনেক। আমরা ছাত্র অবস্থা থেকেই এই লড়াই করছি। আমাদেরও এই লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর এই লড়াইয়ের দায় আজ তরুণ সমাজের ওপর এসে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, এখন বেশি বিবৃতি না দেওয়ার সময়। এখন আমি যত কম কথা বলি, ততই ভালো। আজ ৫১ বছর পর আমাদের স্বকীয়তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়াই করতে হচ্ছে। ৫১ বছর পর আবারও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই করতে হবে। এটা একটা জাতির জন্য চরম দুর্ভাগ্য ছাড়া আর কিছুই নয়।
বাংলাদেশ ছাত্র ফোরামের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সম্পাদক নাজমুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন।
প্রসঙ্গত, আসন্ন দ্বাদশ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে আর বেশিদিন বাকি নেই। আর সেই লক্ষেই দেশের রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা প্রত্যহ মিছিল ও মিটিং এ অংশগ্রহণ করছেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল বলেছেন এবারের নির্বাচনে যে করেই হোক জয়লাভ করতেই হবে।