ক্রিকেটার নাসিরের সাবেক প্রেমিকা ও মডেল-অভিনেত্রী সুবাহ শাহ হুমায়রা গায়ক ইলিয়াস হোসেনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। গেল ১ ডিসেম্বর পারিবারিকভাবে তাদের বিবাহ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। গায়ক ইলিয়াস হোসেন এর আগেও দুইটি বিয়ে করেছেন, কিন্তু তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী সুবাহ’র এটি প্রথম বিয়ে। তাদের বিয়ের খবর পাওয়ার পর ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী করিন দাবি করেছেন, তাকে ডিভোর্স না দিয়ে ইলিয়াস সবাহ’র সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
ইলিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী তাদের বিয়ের পর দাবি করেছেন সুবাহ ইলিয়াসকে ফাঁদে ফেলার মাধ্যমেই তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এ বিষয়ে একটি কল রেকর্ড দেশের একটি জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যমের নিকট হস্তান্তর করেছেন করিন। এই কল রেকর্ড এক প্রান্তে ইলিয়াসকে বলতে শোনা যায়, সুবাহ তাকে ফাঁদে ফেলার মাধ্যমে বিয়ে করার জন্য বাধ্য করেছেন। এমনকি বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার পরে ইলিয়াসকে মারধর করেছেন সুবাহ। সেই বিষয়ক প্রমাণও এসেছে একটি গনমাধ্যমের হাতে।
এতদিন সব কিছু নিয়ে চুপ ছিলেন ইলিয়াস। অবশেষে একটি গনমাধ্যমেরর কাছে মুখ খুললেন এই গায়ক। স্পষ্ট ভাষায় জানালনে, করিনের বক্তব্য সত্য নয়। নতুন সংসারে ঝামেলা পাকানোর জন্যই এমনটা করছেন তিনি।
ইলিয়াস বলেন, ‘এটা বোঝাই যাচ্ছে, ও (করিন নাজ) ইচ্ছে করেই একটা ঝামেলা পাকাতে চাচ্ছে। বিয়ে তো দুইজনের পছন্দ, সম্মতিতেই হয়। এটা তো এমন না যে, একজন বলল আর আমি বিয়ে করে ফেললাম। এটা তো সম্ভব না। আমার যেই ফোনকল রেকর্ড করিন প্রকাশ করেছে, ওটা আসলে পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ সুবাহ নিজেই আমাকে এই কথাগুলো করিনকে বলার জন্য বলেছিল। আমি সেভাবে বলেছি।’
করিনের সুইডেনে থাকার বিষয়টি উল্লেখ করে ইলিয়াস বলেন, ‘ও প্রায় তিন বছর ধরেই সুইডেনে, আর আমি এখানে। বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে ও আমাকে মানসিক নির্যা’তন করে এসেছে। আমি অফিসে গেলেও তাকে সারাক্ষণ ফোনের লাইনে রাখতে হতো। যেকোনো জায়গায় গেলে এটা নিয়ে আমি খুবই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ছিলাম। আমার কাছের, পরিচিত মানুষেরা সবাই জানে। একটা মানুষের সঙ্গে ডিভোর্স কখন হয়, যখন সম্পর্কটা ওরকম তিক্ততায় চলে যায়। সে তিন বছর ধরে সুইডেনে আছে। আমাকেও সেখানে গিয়ে সেটেলড হতে বলে। কিন্তু আমার দ্বারা তো এটা সম্ভব না। কারণ আমি বাংলাদেশে একটা প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা করি, আমার আলাদা একটা ক্যারিয়ার আছে।’
ইলিয়াস এ বিষয়ে জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রী করিন তার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদে যেতে চেয়েছিলেন। তাদের দুই পরিবারের মধ্যে আলোচনা করে এমন ধরনের সিদ্ধান্ত এসেছিলেন তারা। তারা বিয়ে করেছিলেন সেটা হয়েছিল ধর্মীয় রীতি-নীতি অনুসরণ করেই। তবে তাদের বিবাহের কোনো ধরনের নিবন্ধণ হয়নি। তাই আইনগত দিক থেকে ডিভোর্সের বিষয়টিও এখানে আসে না। তবে বিবাহ-বিচ্ছেদের বিষয়টি নিশ্চিত করতে সুবাহ ইলিয়াসকে পরামর্শ দেন, যার কারণে একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে একটি বিবাহ বিচ্ছেদের চিঠি করিনের নিকট পাঠিয়ে দেন তিনি।