দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তপ্ত হচ্ছে রাজনৈতিক মাঠ। রাজনৈতিক দলগুলো সর্বোচ্চ শক্তি জানান দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করছে। এরই অংশ বিএনপির নয়াপল্টনে সমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি পাশাপাশি মতিঝিলের শাপলা চত্বরে জামায়াত সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
এদিকে জামায়াতকে সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে সরকার ও পুলিশ সাফ জানিয়ে দিয়েছে। তবে শাপলা চত্বরে সমাবেশের বিষয়ে এখনো অনড় দলটি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগও সমাবেশের ডাক দিয়েছে।
একই দিনে বিএনপি-জামায়াত ও আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে আলোচনা-সমালোচনা। আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
শামীম ওসমান বলেন, শাপলা চত্বরে বিএনপির সঙ্গে সমাবেশ ডেকেছে জামায়াত। এতে আমি খুবই মর্মাহত। আমি নতুন প্রজন্মের ছেলেদের কাছে এই জন্য ক্ষমা চাইছি যে বাংলাদেশই পৃথিবীর একমাত্র দেশ যেখানে স্বাধীনতা বিরোধী হয়েও রাজনীতি করার সুযোগ পায়। সভা করার সুযোগ পায়।
আ.লীগের এই সাংসদ বলেন, আমার কাছে মনে হচ্ছে জামায়াত বাংলাদেশকে খুব দ্রুত পিছিয়ে নিয়ে যেতে চায়। আগামী এক মাস অত্যন্ত উত্তেজনামূলক পরিবেশ থাকবে।
এর পর একপর্যায়ে নাকে ক্ষত দিয়ে নির্বাচনে আসবে বিএনপি নামক দলটি। তাদের আসতে হবে। তারেক রহমান নির্বাচনে আসতে দিচ্ছে না। তিনি (তারেক) চান, কোনো অবস্থাতেই আমরা বাংলাদেশে নির্বাচন হতে দেব না।
বিএনপির নির্বাচনে আসার বিষয়ে শামীম ওসমান বলেন, তফসিল ঘোষণার পর তারা যখন বুঝবেন বিএনপির তর্জন-গর্জন ও বিদেশি প্রভুদের দিয়ে কাজ হচ্ছে না, তখন তারা মানসিকভাবে হতবাক হবে। তবেই তারা নির্বাচনে আসবে। হ্যাঁ, তখন হয়তো শামীম ওসমান থাকবেন না। আমাকে মে/রে ফেলা হবে। যেমন ১৬ জনকে মে/রে হয়েছিল।আমাকেও মেরে ফেলা হতে পারে।