হঠাৎই কোনো কারণ ছাড়াই সাংবাদিকের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে দরজা বন্ধ করে পেটানোর হুমকি দিয়ে সম্প্রতি বেশ আলোচনায় এলেন চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান। এতে মুহুর্তেই ঘটনাস্থলে শুরু ব্যাপক শোরগোল। জানা গেছে, এ ঘটনায় পরবর্তীতে ঐ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী ঐ সাংবাদিক।
রোববার (২৪ জুলাই) দুপুরে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে।
‘এই দরজাটা দাও তো, একটা লাঠি নিয়ে এসো তো বড় দেখে। উল্টা-পাল্টা কথা বলবেন না। আপনি আমাকে চেনেন। এ অফিসে চাকরি করেন। কথা খুব সাবধানে বলবেন। এই এ দিকে আসো দরজাটা বন্ধ করো উল্টা-পাল্টা কথা বললে আমি পেটাব। আরে রাখ।’ কথা গুলো বলেছেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান।
‘এই দরজাটা দাও তো, একটা লাঠি নিয়ে এসো বড় করে দেখ। উল্টা-পাল্টা কথা বলবেন না। আপনি জানেন আমি কে।এই অফিসে কাজ করেন। খুব সাবধানে কথা বলবেন। এ এদিকে এসো দরজা বন্ধ করো, উল্টা-পাল্টা কথা বললে আমি পেটাব। আরে রাখ।’ সাংবাদিকের ওপর এভাবে হুমকি দিলেন দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান।
এভাবেই তিনি দৈনিক সকাল সাম পত্রিকার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রতিনিধি শামীম রেজাকে তার অফিস কক্ষে হুমকি দেন। ২০২১-২২ অর্থবছরে রবি মৌসুমের ফলোআপ পেঁয়াজ বীজের তথ্য জানতে চাইলে কৃষি কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হয়ে সাংবাদিককে হুমকি দেন।
এ ঘটনায় বিকেলে দামুড়হুদা থানায় কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন সাংবাদিক শামীম রেজা। সাংবাদিক শামীম রেজা দামুড়হুদা উপজেলার বাঘাডাঙ্গা গ্রামের আশরাফ আলীর ছেলে।
সাধারণ ডায়েরি সূত্রে জানা গেছে, রোববার বিকেলে শামীম রেজা দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। এই সময়ে, ২০২১-২২ অর্থবছরের রাজস্ব প্রকল্পের রবি মৌসুমের জন্য পেঁয়াজের ফলোআপ বীজের তথ্য চান। এরপরই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ক্ষুব্ধ হন। বিষয়টি ঢাকা অফিসে জানালে তাদের সহায়তায় সেখান থেকে শামীম রেজাকে উদ্ধার করা হয়।
শামীম রেজা বলেন, একজন কর্মকর্তা হিসেবে মনিরুজ্জামান এমন আচরণ করবেন তা ভাবতে পারিনি। তথ্য জানতে চাওয়ায় সে বিনা কারনে আমার উপর রেগে যায়। সে যদি আমাদের সাথে এমন আচরণ করে তবে সে অন্যদের সাথে কী করবে?
মোঃ মনিরুজ্জামান জানান, এর একদিন আগে তিনি টাকার কথা বলেন। শামীম নামে এক সাংবাদিক আজ অফিসে এসে ওসিকে বিষয়টি জানান। আজও তিনি টাকার কথা তুলছিলেন। সাংবাদিকের হুমকি এড়িয়ে যান তিনি।
এদিকে এ বিষয়ে দামুড়হুদা থানার ওসির কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ইতিমধ্যে ঐ কৃষি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাংবাদিক শামীম রেজা। আর এরই জের ধরে বিষয়টি খুতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।