সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী হ/ ত্যা মামলার বিচার পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট। বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হ/ ত্যা মামলায় শি/ শু আইনে তাদের দুই সন্তানকে সতর্ক করে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানিকালে আদালত এ মন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি শাহেদ নুর উদ্দিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মন্তব্য করেন।
এ সময় আদালত প্রশ্ন তোলেন, আপনারা কি বিচার হতে দেবেন না? যে মারা গেছে তার কি বিচার পাওয়ার অধিকার নেই?
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৫ জুন চট্টগ্রামের নিজাম রোডে ছেলেকে স্কুল বাস থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা মাহমুদা খানম মিতুকে গু/ লি করে ও ছু/ রিকাঘাত করে। সে সময় ঘটনাটি সারাদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ঘটনার সময় মিতুর স্বামী তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার ঢাকায় ছিলেন। ঘটনার পর চট্টগ্রামে ফিরে তিনি পাঁচলাইশ থানায় অজ্ঞাতদের আসামি করে একটি মামলা করেন।
পরে বাবুল আক্তারের দায়ের করা মামলায় স্ত্রী হত্যায় তার সম্পৃক্ততা পায় পিবিআই। গত বছরের ১২ মে আগের মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন মিতুর বাবা সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। ওইদিনই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বাবুলকে আদালতে পাঠায় পিবিআই। তখন থেকেই তিনি কারাগারে রয়েছেন। এরপর থেকে দুটি মামলার তদন্ত করছে পিবিআই।
শ্বশুরের দায়ের করা মামলায় বাবুল আক্তার এখন ফেনী কারাগারে রয়েছেন। এ ঘটনায় মাহমুদার বাবা মোশাররফ হোসেন বাদী হয়ে বাবুলসহ আটজনের বিরুদ্ধে পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করছে পিবিআই। অভিযুক্তদের একজন, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, 23 অক্টোবর, 2021 তারিখে আদালতে সাক্ষ্য দেন, বাবুলকে তার স্ত্রী হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী হিসাবে উল্লেখ করেন। এদিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আজ বিকেলে বাবুলকে আদালতে হাজির করা হয়। শেষ পর্যন্ত তাকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।