প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আসুন কুষ্ঠরোগীদের প্রতি আন্তরিকতা দেখিয়ে,পাশে থেকে তাদের আমরা সুস্থ করে তুলি। তারা আমাদেরই আপনজন। কুষ্ঠরোগীদের কেউ আর দূর-দূর, ছেই-ছেই করবেন না, এটা আমার অনুরোধ। ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে কুষ্ঠরোগ নির্মূলে আমার সরকার দৃঢ় অঙ্গীকার করছে।
রোববার (১২ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে দ্বিতীয় কুষ্ঠরোগ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আমরা যখন ক্ষমতায় ছিলাম। সারাদেশে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। আমরা প্রায় ১০,০০০ কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করেছি এবং ৪,০০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছি। মাত্র এক বছরে সাফল্যের হার ৭০ ভাগের উপরে ছিল। মানুষের অনেক সাড়া পড়ে। কারণ সেখানে বিনামূল্যে ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি। এরপর ক্ষমতায় আসে বিএনপি। খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দেন। তারা মানুষকে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত করছে। যদিও পরে ২০০৯ সালে আমরা ক্ষমতায় আসি। তারপর থেকে আমরা আবার মানুষের স্বাস্থ্যসেবার দিকে মনোনিবেশ করেছি। জনগণের স্বাস্থ্যসেবা সফলভাবে বাস্তবায়নের জন্য আমরা এমডিজি, ভ্যাকসিন হিরোসহ বিভিন্ন সম্মানজনক পুরস্কার লাভ করেছি।
তিনি বলেন, কুষ্ঠ রোগ নিয়ে নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। সবাই ভেবেছিল এটা একটা ছোঁয়াচে রোগ। তাই এ ধরনের রোগীদের কাছে কেউ যেতে চাননি। আমি যখন এ ধরনের রোগীদের কাছে যেতাম তাদের সঙ্গে বসে কথা বলতাম, আমাকে অনেকে মানা করত। কিন্তু আমি তাদের বলেছি, এটা কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। আমরা এই রোগ নির্মূল করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।১৯৯৮ সালে আমরা কুষ্ঠরোগ নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করি।
চিকিৎসকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণার খুব প্রয়োজন। কিন্তু আপনারা সবাই এই বিষয়ে খুব কম গবেষণা করেন। এখানে যদি দয়া করে আপনারা গবেষণাটা করেন, তাহলে আমাদের দেশে জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত যত রোগ আছে সেগুলোর সম্পর্কে ভালো একটা ধারণা পেয়ে যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারব।