পিনাকী ভট্টাচার্য, তিনি তার যোগাযোগ মাধ্যমে রাজনীতিক ও দেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পোষ্ট করে থাকেন। ব্যক্তি গত ভাবে তাকে অনেকে না চিনলেও যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি বেশ আলোচিত ও সমালোচিত ব্যক্তি। তাকে অনেকে যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করে থাকেন। এবার সে সকল প্রশ্নে মধ্য দিয়ে আলোচিত একটি প্রশ্নের নিজেশ্ব মতামত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, আমাকে অনেকে বলেন, ফ্যাসিবাদ কখন যাবে? আমি আগেও বলেছি, আবারো বলছি। বর্শার যেমন ফলা থাকে, তেমন গণশক্তিরও ফলা থাকে। রাজনীতির ভাষায় তাকে বলে ভ্যানগার্ড।
হাটে পকেটমার ধরা পড়লে সবাই দুই ঘা লাগিয়ে দিয়ে আসে। সবচেয়ে দুর্বল লোকটাও এক ঘা লাগায়। কিন্তু একজনকে প্রথমে ওই পকেটমারের কলারটা ধরতে হয়। ওই লোকটা ভ্যানগার্ড।
১৯৯০ এর ভ্যানগার্ড ছিলো ছাত্ররা। এক দারুণ রোমান্টিক, প্রেমিক আর বিপ্লবী প্রজন্ম ছিলো তারা। এই প্রজন্ম কেমন রোমান্টিক ছিলো সেটা বুঝতে হলে আপনি সোলসের গান শুনুন।
ফ্যাসিবাদকে পরাস্ত করার জন্য বাংলাদেশের ছাত্রদের যদি আবারো ভ্যানগার্ড হিসেবে চান তাহলে আপনার আরেকটা সোলস লাগবে, আরেকটা হ্যাপি আর লাকি আকন্দ লাগবে, আরেকটা রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ লাগবে, আরেকটা মাসুদ রানা লাগবে, আরেকটা সলিড গোল্ড লাগবে। রুশ বিপ্লবেও গোর্কিকে লেগেছিলো।
বিপ্লবীকে আগে প্রেমিক হতে হয়, রোমান্টিক হতে হয়, স্বপ্ন দেখতে হয়। তারপরে নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয় এটা জেনেই সে পরাজিত হতে পারে, এটা জেনেই সে যেই দুনিয়ার স্বপ্ন দেখেছে সেই দুনিয়ায় সে জীবন কাটাতে নাও পারে। ইউজুয়ালি রেভলুশনারিস ডু নট লিভ ইন দ্য সোসাইটিস দে ড্রিম অফ।
বিপ্লব রাস্তায় মিছিল করে আসেনা। বিপ্লব আসে হৃদয়ে তারপরে মগজে। রাস্তায় তার শেষ প্রকাশ হয়। আর বিপ্লবীরা আসে গ্রাম আর মফস্বল থেকে। তার গায়ে পলিমাটির সৌরভ থাকতে হয় আর পিঠে রক্তজবার মতো ক্ষত থাকতে হয়।
ব্লগার এবং অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট পিনাকী ভট্টাচার্য একজন ডাক্তার। তিনি 1986 সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বগুড়া জেলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শ্যামল ভট্টাচার্যের জ্যেষ্ঠ পুত্র। চিকিৎসা নিয়ে পড়াশোনা করলেও বর্তমানে তিনি এই পেশার সঙ্গে জড়িত নন। একজন ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি একজন সফল উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচালিত হয়।