আবু হেনা রনি।বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের কমেডি জগতের বড় একটি তারকার নাম।মিরাক্কেল থেকে উঠে আসা এই বাংলাদেশী কমেডি তারকার বর্তমান দিনকাল যাচ্ছে না তেমন একটা ভালো। গেলো গত ১৬ সেপ্টেম্বর বিকেলে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে দগ্ধ হন অভিনেতা আবু হেনা রনি।
সেখান থেকে দ্রুত তাকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কিছুদিন উন্নত চিকিৎসা নেওয়ার পর অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছেন এই স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান।
নিজের শারীরিক অবস্থা নিয়ে বাংলাভিশনের সঙ্গে কথা বলেছেন আবু হেনা রনি। পুড়ে যাওয়ার যন্ত্রণার বর্ণনা দিতে গিয়ে অভিনেতা বলেন, পুড়ে যাওয়ার মতো ব্যথা আর নেই। কাউকে বোঝাতে পারব না। আমাকে যখন গাজীপুর থেকে ঢাকায় আনা হচ্ছিল, তখন সেখানে উপস্থিত লোকজনকে বলছিলাম, আমাকে অজ্ঞান করে দাও। আমি এই কষ্ট সহ্য করতে পারছি না।’
রনি বলেন, আগের তুলনায় এখন অনেকটাই সুস্থ। শরীরের ৮০ শতাংশ সুস্থ হয়েছে, ২০ শতাংশ বাকি আছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কিছুদিনের মধ্যেই দেশে ফিরতে পারবেন বলে আশাবাদী অভিনেতা।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে গ্যাস বেলুন বিস্ফোরণে থমকে যায় লোক হাসানো রনির সুখী জীবন।
ওই ঘটনায় রনির শ্বাসনালীসহ শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে যায়। ঘটনার পর থেকে রনির আর কিছুই মনে পড়ে না প্রতিদিন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালের প্রধান বার্ন কো-অর্ডিনেটর ডাঃ সামন্ত লাল সেন বলেন, ভয় ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। নিয়মানুযায়ী রনির দগ্ধ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ড্রেসিং ও থেরাপি চলছে। কখনো হাতের ফিজিওথেরাপি, কখনো শরীরের বিভিন্ন অংশে পরীক্ষা বা কখনো সারা শরীরে ব্যায়াম করা হয়।
বর্তমানে বেশ সেরে উঠেছেন রনি। তবে তার চিকিত্সা নিয়ে বেশ চিন্তিত ছিল পুলিশ।রনিকে উন্নত চিকিৎসর জন্য বিদেশ নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু রনি নিজের দেশের চিকিত্সাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন।