ড. শামসুল আলম হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী সরকারের মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী। এই সম্মানীয় পদে প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকে নিষ্ঠা ও সততার সহিত তিনি তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ড. শামসুল আলম পূর্বে পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য পদে থেকে অর্থনীতি বিভাগে সিনিয়র সচিবের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সম্প্রতি তিনি তার এক বক্তব্যে বলেছেন রাজনীতিবীদরা ঘোড়ার সাওয়ারের মতো আমলাদের পরিচালনা করেন।
রাজনৈতিক ক্ষমতা যেভাবে চায় আমলারা কাজ করে। তারা ঘোড়সওয়ারের মতো আমলাদের ম্যানেজ করে বলে জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলম। বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুল আলম বলেন, আমলাদের কর্মকাণ্ডের ওপর সরকারের সাফল্য নির্ভর করে। কারণ দেয়ালের ভেতরে যেমন লোহার কাঠামো থাকে, তেমনি সরকারের ভেতরে আমলারা লোহার কাঠামো। কিন্তু রাজনৈতিক শক্তি তাদের চালিত করে।
এসিআর পদ্ধতিতে অনেক সমস্যা রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ব্যতিক্রম একটিই। সবাই কিভাবে ব্যতিক্রমী হয়? সম্ভবত রায় নিয়ে সমস্যা ছিল।
শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন- জাতীয় বেতন স্কেল ২ থেকে ১০ পর্যন্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে শিল্প ও শক্তিশালী বিভাগের প্রধান ও অতিরিক্ত সচিব নজিবুর রহমান। গ্রেড ১০-১৬ এর কর্মকর্তাদের মধ্যে পরিকল্পনা বিভাগের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল ইসলাম এবং ১৭-২০ গ্রেডের কর্মকর্তাদের মধ্যে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) অফিস সহকারী বেগম জুয়েলা শেখ। অফিস প্রধান হিসেবে শুদ্ধাচার পুরস্কার পেয়েছেন বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন।
প্রসঙ্গত, আমলারা নির্দিষ্ট কোনো দলের হয়ে কাজ করেন না। তাই সরকার পরিবর্তন হলেও তাদের উপর কোনো ধরণের প্রভাব পরে না। তারা শুধু সরকারের কর্মকান্ড পরিচালনা করেন। তবে আমলারা অবসরপ্রাপ্ত হয়ে চাইলে যেকোনো দলের সমর্থন জানিয়ে রাজনীতিতে যোগদান করতে পারেন।