বাংলাদেশের জাতির পিতা হলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজুবর রহমান। তিনি বাংলা মায়ের সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান। তিনি না থাকলে বাংলাদেশ কখনো স্বাধীন হতো না। বাংলাকে স্বাধীন করতে তিনি যে আত্মত্যাগ দিয়ে গেছেন তা কখনো ভুলে যাবার নয়। আর তারই সুযোঘ্য কন্যা হলেন বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে টেকসই উন্নয়নের দিকে নজর দিতে বলেছেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় টেকসই উন্নয়নে মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সোমবার (২২ আগস্ট) সকালে বিসিএস কর্মকর্তাদের ৭৩তম মৌলিক প্রশিক্ষণ কোর্সের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণ কর্মকর্তারা ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে কাজ করবেন। আপনারাই আমাদের কারিগর। আমরা শুধু পরিকল্পনা দিয়েছি, কারণ আমরা হয়তো অতদিন বেঁচে থাকতে পারব না।। তরুণদেরই এই পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালে থামলে চলবে না, আরও এগিয়ে যেতে হবে। ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যানও সেটাই করছে। উন্নয়ন সবসময় টেকসই হতে হবে। দেশের উন্নয়নে আমরা যা করেছি তা বিশ্বে বিরল, আর কেউ করেনি।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশে যারা ভূমিহীন ও গৃহহীন তাদের চিহ্নিত করে ঘর ও জীবিকার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কেউ বাদ পড়েছেন কি না, তা খতিয়ে দেখতে সরকার ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেউ গৃহহীন হবে না, সেই লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে এবং সেগুলো বাস্তবায়ন করছে।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী পর পর তিনবার ক্ষমতায় আসার পর অনেক উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু সর্বকালের সেরা স্থাপনা বাংলাদেশের মাটিতে। আর সেই স্থাপনা নির্মাণ করে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মাথা সীমাহীনভাবে বাড়িয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।