সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্য বই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়েছে। পাঠ্য বইয়ের যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে তার মধ্য রয়েছে বয়:সন্ধি ও মানব দেহের বিশেষ অঙ্গের পরিবর্তনের বিষয়, বিবর্তনবাদ ও গুগল থেকে কপি করে নেওয়া টেক্সটের বঙ্গানুবাদ। এই বিষয়গুলো নিয়ে সমালোচনা যেন থামছেই না। এবার সেই বই বিষয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি পোস্ট করেছেন সমালোচক পিনাকী ভট্টাচার্য। তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবুহু তুলে ধরা হলো-
রকমারি জিয়া, ফাহাম আর ফাইয়াজের বই বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছে। রকমারি এই একই কাজ করেছিলো আমার সাথে দুই বছর আগে।
পাঠকের কাছে কীভাবে পৌছাতে হয় সেটা আমি স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বইয়ের অসামান্য সফল মার্কেটিং আর ডিস্ট্রিবিউশন করে হাতে কলমে দেখিয়েছি। আমার প্রকাশক ছিলো লণ্ডনের বই ছাপা হয়েছে দেশের বাইরে৷ কাস্টমসের চোখ এড়িয়ে বইয়ের চালান খালস করা, স্টোর করা একটা ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ ছিলো। কুরিয়ার বদলানো হয়েছে প্রত্যেক সপ্তাহে কারণ কুরিয়ার অফিসে পুলিশ হানা দিতো কয়েকদিন পরেই। আমাদের লক্ষ্য ছিলো অন্তত পচিশ হাজার কপি বাংলাদেশে পাঠকের হাতে গেরিলা পদ্ধতিতে পৌছে দেয়া। আমরা সফল হয়েছি। হাল ছেড়ে দিয়েছে পরে পুলিশ। বাতিঘরের মতো বইয়ের দোকানে তারপরে তুলেছে বইটা। নীলক্ষেতে কপি হয়েছে হাজার হাজার কপি। আমরা উৎসাহিত করেছি পাঠককে নীলক্ষেত থেকে হলেও কিনতে। প্রকাশকের বিনিয়োগ উঠে গেলে আমি বইয়ের পিডিএফ বিলিয়ে দিয়েছি স্বত্ত্ব ত্যাগ করে।
পাঠকের কাছে পৌছানো নিয়ে কথা। অবশ্যই প্রকাশকের বিনিয়োগ উঠে যাবার পরে। ফাহাম, জিয়া আর ফাইয়াজ যদি সিন্ডিকেটেড মার্কেটিং আর ডিস্ট্রিবিউশন করে তাহলে তাদের বইগুলো রকমারী আর বইমেলা যা বিক্রি করতো তার চাইতে দশগুণ বেশী বিক্রি হবে। বিশগুণ বেশী পাঠকের হাতে পৌছাবে।
রকমারিরে দোষ দিয়া লাভ নাই। ব্যবসা করতে আসছে সে বিপ্লব করতে আসে নাই। এইভাবে কম্প্রোমাইজ করলে তার ব্যবসা টিকবে না। এটা সত্য কিন্তু সেইটা তার হিসাব। রকমারি তার মুর্গি লেজে কাটলে আমাদের তো কিছু বলার নাই।
প্রসংগত, পিনাকী ভট্টাচার্য বর্তমান সময়ে বেশ আলোচনায় রয়েছেন। তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশ সক্রিয় থাকেন এবং বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন দল আ.লীগ সভানেত্রী ও দলটির সমালোচনা করে থাকেন। তবে মাঝে মাঝে তার কিছু আলোচনা তাকে ব্যক্তিত্বহীন করে তুলছেন বলে মনে করছেন অনেকে। তবে তিনি তার আলোচনায় ভীষন রকমের ক্ষোভের বিষয়টি উঠে আসে। তিনি তেমন নিরপেক্ষ আলোচনা করতে দেখা যায় না।