আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক মাঠ আস্তে আস্তে উত্তাপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বড় দুুটি দল ভিন্ন অবস্থানে নেওয়ায় রাজনীতিতে একটি অশুভ সংকেত দেখাচ্ছে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজনীতির মাঠ দখল নিয়ে রাজনীতি ভিন্ন বাতাস বইছে যেটির ভবিষ্যৎ খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিরোধী দল দাবি আদায় করতে মাঠে নামছে অপরদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলী প্রতিহত করতে মাঠে নেমেছে। সরকার পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে আছে বলে মন্তব্য করে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী যা বললেন।
নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর যেভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে তার কঠোর সমালোচনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আজকে যা হচ্ছে তা বাংলাদেশের চিত্র নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে প্রতিবাদ করা খোদায়ী বিধান। বেরিয়ে দেখুন আপনাদের জয় সুনিশ্চিত। রাস্তায় নামলে পরিবর্তন আসতে বাধ্য। সরকার পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে আছে।’
শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের সপ্তম মৃ/ত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এ সভার আয়োজন করে ভাসানী আনুসারী পরিষদ। সংগঠনের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তৃতা দেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আবদুর রব, জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ইউনিয়নের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের ভিপি নুরুল হক নূর, জাতীয় পার্টি (জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আক্তার হোসেন, ডা. সেলিম, বাবুল বিশ্বাস সহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজ পুলিশ বিনা কারণে মা/রছে। তাদের গু/লি করার অধিকার কে দিয়েছে? মানিকগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, রংপুরে যা হচ্ছে এটা কি বাংলাদেশের ছবি? বেশি সময় বাকি নেই। গণতন্ত্রের মঞ্চের নেতারা মাঠে নামুন।
তিনি সরকার প্রধানকে বলেন, ‘এখনও সময় আছে। এভাবে দেশ চলতে পারে না। ভুল পদক্ষেপ, অহংকার ছেড়ে মানুষের সাথে কথা বলুন।আপনারা আলোচনায় ভয় পান।মুখে বলেন একটা, করেন আরেকটা। দেশে পরিবর্তন দরকার। কিন্তু বিদ্রোহ দরকার নেই।’
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আজকে কাজী জাফর নেই কিন্তু অনেক মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন। আমরা রাস্তায় নামলে ১৫ মাসের মধ্যে দেশের পরিবর্তন আসতে বাধ্য। আমরা লড়াইয়ে আছি, থাকবো ইনশাআল্লাহ্।’
প্রসঙ্গত, আন্দোলন প্রতিহত করার নামে সরকার রাষ্ট্রীয় বাহিনী যে ভাবে করছে সেটির মাধ্যমে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। তিনি বলেন, এটির মাধ্যমে সরকার ভিন্ন পথে হাটচ্ছে যেটি ভবিষ্যৎ ভয়াবহ।