প্রতিবছরেই বাংলাদেশ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নানা ধরনের পন্য আমদানি-রফতানি করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বেশ কিছু পন্যের বিশ্ব দরবারে অনেক কদর রয়েছে। এই সকল পন্যের মধ্যে একটি পাট। এই পাটকে বাংলাদেশের সোনালী আঁশও বলা হয়ে থাকে। তবে নানা কারনে বর্তমান সময়ে এই পাটের চাহিদা অনেকটা কমে গেছে। অবশ্যে বাংলাদেশ সরকার এই পাট শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এমনকি পাট শিল্পের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া।
রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাংলাদেশ সফরে এলে আমরা খুশি হবো- এমনটি জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি রাশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, বাংলাদেশ পাট শিল্পে রুশ বিনিয়োগকে স্বাগত জানাবে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এ কথা জানান। তিনি আরও জানান, উভয়ে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতার ক্ষেত্র বিস্তৃত করার ওপর গুরুত্বারোপ পাশাপাশি কৃষি খাতের সুযোগসমূহ অন্বেষণে সম্মত হন। প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে বিশেষ করে রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে রাশিয়ার সহযোগিতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের সমর্থনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘যুদ্ধকালে যে দেশ আমাদের দৃঢ়ভাবে সমর্থন করেছে তারা আমাদের হৃদয়ের বিশেষ জায়গায় রয়েছে।’ শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, অনেক ছাত্রই রাশিয়ায় পড়াশোনা করেছিল, বিশেষ করে চিকিৎসা বিজ্ঞানে। তিনি আরও বলেন, রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বাংলাদেশ সফরে এলে আমরা খুশি হব।
রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার ভিকেন্তিয়েভিচ ম্যান্টিটস্কি বলেন, তিনি ২০ বছর আগে ঢাকা এসেছিলেন। কিন্তু দেশের বর্তমান অগ্রগতি ও উন্নয়ন ‘ব্যাপক ও উল্লেখযোগ্য’। তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও রাশিয়ার বন্ধুত্বের শুরু ১৯৭১ সালে, কারণ তৎকালীন সোভিয়েত রাশিয়া দেশটির প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল। রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ব্যাপকভাবে বেড়েছে। রুশ দূত রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পর বাংলাদেশে দ্বিতীয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে তার দেশের আগ্রহ ব্যক্ত করেন। দুদেশের মধ্যকার বিভিন্ন চুক্তির কথা উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত এগুলোর হালনাগাদ করার প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন। এ ছাড়া তিনি প্রতিরক্ষা খাতে দুদেশের সহযোগিতা জোরদারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। অ্যাম্বাসেডার এট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫০ বছর অতিক্রম করেছে। এই স্বাধীনতার স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিশ্ব দরবারে ব্যপক সফলতা এবং সম্মাননা। এমনকি ক্রমশই বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে উন্নয়নের দিকে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার তাগিদে বিশ্বের উন্নত অনেক দেশ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে। এবং নানা ভাবে করছে সাহায্যে- সহযোগিতা।