সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের ওপর গু/ম, বিচারবর্হিভূত হত্যাকান্ডসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। বিষয়টি নিয়ে দেশে ও দেশের বাহিরে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিয়ে দেশ ও দেশের বেশকয়েক মানবাধিকার সংগঠন জাতিসংঘে চিঠি দেয় যার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। পরে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়। তবে কিছু শর্ত জুড়ে দেয় যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়ে। আইন অমান্য করায় র্যাব-পুলিশের অনেকেই কারাগারে মন্তব্য করে যা বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সবসময় সংস্কারের মধ্যেই আছে। তাদের অনেকেই অপরাধ করায় কারাগারে। শুধু র্যাব নয়, পুলিশের সদস্যরাও কারাগারে আছেন। র্যাবের সংস্কার সবসময় চলছে। কোনো অভিযোগ পেলেই আমরা সেটা সংস্কার করছি।
রোববার (২ অক্টোবর) রাজধানীর একটি হোটেলে মানবপাচার বিষয়ে বাংলাদেশের প্রথম গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
র্যাবের সংস্কার ও জবাবদিহির ক্ষেত্রে সরকার কী করছে এমন প্রশ্নে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেখেন, র্যাব যখন তৈরি হয়, তাদের প্রশিক্ষণও ইউএসএ দিয়েছে। কাজেই আমরা মনে করি র্যাবের যদি কোনো ভুলভ্রান্তি হয়ে থাকে…জেলখানায়। র্যাব বা পুলিশ যেই অন্যায় করুক, শাস্তিযোগ্য অপরাধ করুক, কেউ রেহাই পায় না। অনেক পুলিশ ও র্যাব সদস্য কারাগারে। আমরা কাউকে ছাড় দিচ্ছি না।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সংস্কারের কথা যা বলা হচ্ছে আমরা সব সময় সংস্কার করছি। আমরা সবকিছু আধুনিকায়ন করছি। যেটা প্রয়োজন সেটাই দেখছি।
তিনি আরও বলেন, যারা অপরাধ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।সেজন্য আমরা অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেই।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হয়নি। হাস বলেন, জবাবদিহিতা ও সংস্কার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
হাসের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এলিট ফোর্সের নবনিযুক্ত মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন মন্তব্য করেছেন যে, “র্যাবের সংস্কারের প্রশ্নই আসে না”। শনিবার (১ অক্টোবর) সকালে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
নতুন ডিজি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সংস্কারের কোনো কারণ দেখছি না। কারণ র্যাব এমন কোনো কাজ করেনি যা সংস্কার করা দরকার। আমরা আমাদের নিয়ম অনুযায়ী কাজ করছি। আমরা আইনের বাইরে কিছু করি না। তাই সংস্কারের প্রশ্নই আসে না।
প্রসঙ্গত, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাবের কর্মকান্ড নিয়ে প্রতিনিয়ত কাজ করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। কেউ আইন অমান্য করলে তাকে শাস্তির আওতায় আনা হয় বলে জানান জানান তিনি।