প্রশাসন হিসেবে র্যাব বাংলাদেশের অন্যতম পরিচিত একটি শাখা। অপরাধ দমনে সর্বদা নির্ভীক সাহসিকতার সাথে কাজ করে রেপিড একশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। নিজেদের দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে বার বার তাদের নির্ভিক সাহসিকতার সাথে। সর্বদা মানবাধিকার রক্ষায় যাদের কাজ তাদের বিরুদ্ধে কিনা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তাও আবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। এ ব্যাপারে কথা বললেন বাংলাদেশ র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ।
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ বলেছেন, মানুষের অধিকার রক্ষা করাই র্যাবের প্রধান দায়িত্ব। এদিক দিয়ে র্যাব বড় মানবাধিকার কর্মী।
র্যাব ও তার ছয় কর্মকর্তার ওপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এ বিষয়ে র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ বলেন, আমরা কখনও মানবাধিকার লঙ্ঘন করি না। সব সময় মানবাধিকার রক্ষা করি।
তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, খুন করে, ধর্ষণ করে, মাদক ব্যবসা চালায়, দেশ এবং জনগণের স্বার্থেই আমরা তাদের আইনের আওতায় আনি। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়ে থাকে, তাহলে দেশের স্বার্থে এই মানবাধিকার লঙ্ঘন করতে আমাদের আপত্তি নেই।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন অযৌক্তিক কারণে নিষেধাজ্ঞা, আমাদের পুলিশ বিচার বহির্ভূত হত্যা করে না।
উল্লেখ্য, মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে বাংলাদেশের র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সাবেক ও বর্তমান ছয় কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে এই নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব বিভাগ।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশ র্যাবের ৬ কর্মকর্তাকে। এ যেন মেনে নেওয়া কষ্টকর। যার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন র্যাব এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল কে এম আজাদ। মানবাধিকার রক্ষার যাদের দায়িত্ব তাদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ আসলে কতটা সত্য সে ব্যাপারে এখনো কোনো তদন্তের কথা বলা হয়নি। র্যাব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগের ব্যাপারে বাংলাদেশ থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কিনা সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি।