আসন্ন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রচার-প্রচারণা নিয়ে এই মুহুর্তে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। তবে নির্বাচন নিয়ে সহিংসতার বিষয়টি কিন্তু থেকেই যায়। আর এরই ধারাবাহিকতায় আগে থেকেই প্রার্থীদের আচরণ-বিধি লঙ্ঘন না করার আহ্বান জানিয়ে শনিবার দেওভোগ এলাকায় এক মতবিনিময় সভায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াত আইভী বলেন, সব পরিস্থিতি আমরা মোকাবিলা করতে জানি, যত কিছুই হোক আমরা রুখে দাঁড়াবো। আমরা অত্যাচার অবিচারের বিরুদ্ধে কথা বলবো।আমরা যেন কারো সঙ্গে নারায়ণগঞ্জবাসীর স্বার্থে কম্প্রোমাইজ না করি। আমি আপনাদের দোয়া ও সমর্থন চাই।’ কথাগুলো বলেছেন ।
আইভী বলেন, আমরা অনেক কঠিন সময় পার করে এসেছি। এবার যে কঠিন হবে না তা নয়। আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জায়গায় অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি যাই করি না কেন তাতেই আমাকে আঘাত করার চেষ্টা করে। ধর্মীয় বিষয় তুলে এনে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা হচ্ছে, আপনারা কোনো ধরনের বিভ্রান্তিতে পড়বেন না। আমরা আল্লাহওয়ালা লোক, আমি এই বিষয়ে কারো সঙ্গে কোনো ধরনের কম্প্রোমাইজ করবো না।
তিনি বলেন, আমি আমার বাবা আলী আহমেদ চুনকার মত হয়তো হতে পারবো না তবে, চেষ্টা করে যাচ্ছি। ২০০৩ সাল থেকে আপনাদের সঙ্গে আমার ধারাবাহিকতা। ২০১১ সাল যখন আমার জন্য সবচেয়ে কঠিন সময় তখন আমার মা আমাকে সবার আগে বলেছিলেন অন্যায়ের বিরুদ্ধে তোমাকে নির্বাচন করতেই হবে। আমি সেদিন মায়ের সাহসে আপনাদের সবাইকে ডেকে আপনাদের মতামতে প্রার্থী হয়েছিলাম। বলেছিলাম ১ ভোট পেলেও নির্বাচন করবো, সেই নির্বাচন ছিল আমার অন্যায় চাঁদাবাজের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। সেই সময় অনেকে সামনে এসেছিলেন অনেকে আসতে পারেননি, তবে সবাই ভোট দিয়েছিলেন।
২০১৬ সালে আমি নির্বাচন করেছিলাম এবং বলেছিলাম আমি আর নির্বাচন করবো না। আমি তখন বলেছিলাম নৌকা না দিলে আমি আর নির্বাচন করবো না। তখন আমার নেত্রী আমার হাতে নৌকা তুলে দিয়েছিলেন।
আইভী বলেন, আপনারা ভোট দিয়েছেন আর আপনাদের সম্মানে আমি সারা নারায়ণগঞ্জে কাজ করেছি। আমি আপনাদের হয়তো সময় দিতে পারি না তবে, আমি সর্বক্ষণ কাজ করেছি। ২০২২ সালে নির্বাচন আমি বলেছিলাম, দল আমাকে নৌকা দিলে নির্বাচন করবো না দিলে করবো না। আমাকে নেত্রী নৌকা তুলে দিয়েছেন। আমাদের দলের সবাই আমাকে সমর্থন জানিয়েছেন।
নির্বাচন যেই করুক না কেন তার সঙ্গে আমার নির্বাচন করতে হবে। আপনারা আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করবেন না। ষড়যন্ত্র কিন্তু গভীর হচ্ছে আর তাই আমি দোয়া চাচ্ছি যেন এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করতে পারি। সরকারি দলের প্রার্থীর এমনিতেই দোষ, তাই ২৯ তারিখ পর্যন্ত আপনারা স্লোগান দেবেন না।
এদিকে এর আগে কয়েক ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে নানা সহিংসতার খবর লক্ষ্য করা যায়। এমনকি নির্বাচনি সহিংসতায় প্রাণও হারিয়েছেন কেউ কেউ। তবে এ ঘটনা যেন পুনরায় না ঘটে, সে দিকে লক্ষ্য রাখছে প্রশাসন।