গণঅধিকার পরিষদের একাংশের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, নির্বাচনে কে কতটি আসন পাবে তা ১৭ ডিসেম্বর ঠিক হয়েছে। এখন ডিসি, এসপি, ওসি, ইউনওদের ভাগ-বাটোয়ারা দিতে নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। আমরা নির্বাচনে গেলে ২০-৫০ কোটি টাকা পেতাম, ৫-৭টি আসন পেতাম। কিন্তু দেশের প্রতি দায়িত্ববোধ থেকে আমরা তা করিনি।
সরকার বদলাবে, হয় দুদিন আগে না হয় দুদিন পরে।
শনিবার দৈনিক বাংলা মোড়, ফকিরাপুল মোড়, নাইটিঙ্গেল মোড়ে লিফলেট বিতরণ শেষে বিজয়নগর পানির ট্যাংক মোড়ের সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নুরুল হক নূর বলেন, জনগণের টাকায় ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের নামে কোনো বিভেদমূলক নাটক মঞ্চস্থ হতে দেওয়া হবে না। আমরা আমাদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় নেমেছি, নিজেদের স্বার্থে বা পরিবারের জন্য নয়।
এদেশের মানুষের জন্য। এ জন্য আজ থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অফিস-আদালত বন্ধ করে অসহযোগ আন্দোলন করুন। দেশপ্রেমিক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছে আমাদের আবেদন, অফিস-আদালতে তালা ঝুলিয়ে দিন। আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি, তবে আমাদের ওপর আঘাত এলে আত্মরক্ষায় পাল্টা ব্যবস্থা নিতে হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান বলেন, “আমরা কোনো অন্যায় দাবি নিয়ে রাজপথে আসিনি। আমরা ভোট দিতে চাই। এটা কি আমাদের অপরাধ? আজকে দেশে গণতন্ত্র নাই, মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হয়েছে। অথচ দেখেন ভারত এই সরকারকে নগ্নভাবে সাপোর্ট দিচ্ছে। ১৪ সালে যেভাবে একতরফা নির্বাচনে সহযোগিতা করেছে, এবারও ডামি নির্বাচনে সাপোর্ট দিচ্ছে।
অর্থাৎ বাংলাদেশের গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক সংকটের দায় ভারত এড়াতে পারে না।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল হাসানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন উচ্চ পরিষদের সদস্য আবু হানিফ, শাকিল উজ্জামান, সহ-সভাপতি বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সিএন. যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি তরিকুল ইসলাম, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান, গণঅধিকার পরিষদ মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক নুরুল করিম শাকিল প্রমুখ।