এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন (এসিইউ) আমদানি বিল পরিশোধের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে। বুধবার নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে এই দায় সমন্বয় করা হয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৪ জুলাই আইএমএফ কর্তৃক গৃহীত বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুযায়ী রিজার্ভ স্ট্যাটাস ছিল ২ হাজার ১৭৮ মিলিয়ন ডলার। আকুর দায় শোধের পর তা ২ হাজার ৪৬ কোটি ডলারে নেমে এসেছে।
অর্থনীতিবিদদের মতে, এটিও প্রকৃত রিজার্ভ নয়। গ্রস রিজার্ভ থেকে IMF পাওনা সহ সমস্ত দায় বাদ দিলে নিট রিজার্ভ আরও কমে যাবে। তথ্যানুযায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব গ্রস রিজার্ভ ছিল ৪ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৬৮১ মিলিয়ন ডলার। এখান থেকে সঞ্চিতি বাদ দিলে গ্রস রিজার্ভের অবস্থা দাঁড়ায় ২ হাজার ৬১৭ মিলিয়ন ডলার।
জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের উদ্যোগে ১৯৭৪ সালের ৯ই ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয় আকু। জাতিসংঘের এশিয়া অঞ্চলের অর্থনীতি ও সামাজিক কমিশনের ভৌগোলিক সীমারেখায় অবস্থিত সকল দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জন্য আকুর সদস্যপদ উন্মুক্ত। এর সদর দপ্তর ইরানের রাজধানী তেহরানে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মায়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ – এই ৯টি দেশ এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (এসিইউ) সদস্য ছিল। যাইহোক, রিজার্ভ সংকটের কারণে, শ্রীলঙ্কা ২০২২ সালের অক্টোবরে আকু ত্যাগ করে।
আকুর সদস্য দেশগুলো নিজেদের মধ্যে যে আমদানি-রপ্তানি করে, তার দায় ২ মাস পর পর সমন্বয় করে। এর আগে গত জুনের শেষের দিকে ধারদেনা করে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। জুনের শেষের দিকে আইএমএফ ঋণের তৃতীয় ধাপ আসার সাথে সাথে অন্যান্য কয়েকটি উত্স থেকে ডলার যোগ করা হয়েছিল। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, গ্রস রিজার্ভের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৬৫০ মিলিয়ন ডলার। এবং IMF-অনুমোদিত BPM-6 সিস্টেম অনুযায়ী, রিজার্ভের পরিমাণ এখন ২২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।