আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মন্তব্য করেছেন, ইউনিয়ন বা দেশ কী বিবৃতি দেয় তাতে কিছু যায় আসে না।
মঙ্গলবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘মুক্তিযোদ্ধা সৈনিক হ/ত্যা দিবস’ উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ” কোন ইউনিয়ন বা কোন দেশ কি বিবৃতি দেয় তাতে কিছু যায় আসে না” ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমার দেশের আইন অনুযায়ী আমি আমার দেশের অপরাধীর বিচার করতে পারব না। এটাই কি গণতন্ত্র?” এই আদেশ কোথা থেকে এসেছে? আমার দেশের অপরাধী, আমার দেশের খু/নিকে বিচার করা যায় না, জেলে পাঠানো যায় না… আদালত আছে, নির্দোষ হলে আদালত থেকে মুক্তি পাবে। আমাদের একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ আছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএনপিকে কাপুরুষ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, তাদের (বিএনপি) রাজনীতি করা ঠিক নয়।
৭ নভেম্বর বিএনপির কর্মসূচি স্থগিতের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি এখন কোথায়? কোথায় গেল লাফালাফি? কোথায় গেল বাড়াবাড়ি? আজ আমি প্রশ্ন করতে চাই, ৭ নভেম্বর কার দিন? বিএনপির…কি দিবস? জাতীয় দিবস? জাতীয় দিবসের কর্মসূচিও স্থগিত করেছে দলটি। ওরা ওদের মতো কাপুরুষ…, রাজনীতি করার যোগ্য নয়।
তিনি বললেন, আমি কি মিথ্যা বলেছি? তাদের দিন, তাদের জাতীয় দিবস, তাদের বিপ্লব ও সংহতি দিবস। তারা তাদের দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজার জিয়ারত করতেও সাহস পায় না। এই কাপুরুষদের রাজনীতি? তাদের প্রতিবাদ করার সাহস এখানেই বোঝা গেল।
ওবায়দুল কাদের অভিযোগ করে বলেন, জিয়াউর রহমান এদেশে হ/ত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করেছেন। আর তার উত্তরসূরি বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান আগুন স/ন্ত্রাস শুরু করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরসহ অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সৈনিককে হ/ত্যা করেছেন। এই জিয়া হ/ত্যাকাণ্ডের মধ্য দিয়ে ষ/ড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছে এবং তার উত্তরসূরিরা আগুন স/ন্ত্রাস শুরু করেছে।”
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান কর্নেল তাহেরকে বাঁচতে দেননি। তাকে ফাঁ/সি দেওয়া হয়। সকালের নাস্তা করতে গিয়ে জিয়া কত সেনাকে হ/ত্যা করেছে এবং কত মুক্তিযোদ্ধাকে ফাঁ/সির আদেশ দিয়েছে। সেই জিয়াউর রহমানের উত্তরসূরিরা আজ আবার বাংলাদেশে বসতে চায়। তারা বাংলার গণতন্ত্রকে ধ্বং/স করতে চায়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “এদেশে পর্দার আড়ালে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো আমাদের ইতিহাসকে রক্তাক্ত ও কলঙ্কিত করেছে। জিয়াউর রহমানই ৩ নভেম্বর হ/ত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। এই জিয়াই সেই জিয়া যিনি সিপাহী-জনতা অভ্যুত্থান নামে কর্নেল তাহেরের জীবন বাঁচিয়েছিলেন।। ক্যান্টনমেন্টে বন্দী ছিল। তাকে উদ্ধার করা হয়। শেষ পর্যন্ত জিয়াউর রহমান সেই কর্নেল তাহেরকে ফাঁ/সি দেন।
আবু আহমেদ মান্নাফী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা.দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।