ক্লাস শেষ হওয়ার আগেই স্কুল থেকে ছুটি নিয়ে বাসায় এসে বাবার উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে নিখোঁজ হওয়া পঞ্চম শ্রেণীর স্কুলছাত্র সেই সামিউল ইসলাম স্বপ্নের (১১) খোঁজ মিলেছে। সংবাদ মাধমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সামিউলের বাবা তারেক আহমেদ নিজেই। এর আগে গত মঙ্গলবার অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান না পেয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিনি।
গতকাল বুধবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৮টার দিকে মিরপুর উপজেলার জিয়া রোডের একটি চায়ের দোকানে তাকে পাওয়া যায়।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বারুইপাড়া ইউনিয়নের একতারপুর তাঁতীবন্দ গ্রামের বাড়ি থেকে বের হন তিনি।
তারেক আহমেদ জানান, মঙ্গলবার সামিউল বাড়ি থেকে ট্রেনে যশোর যায়। বুধবার রাত ৮টার দিকে জিয়া সড়কের একটি চায়ের দোকানে তাকে পাওয়া যায়।
স্কুল ছাত্রের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সামিউল স্কুলে যায়। স্কুলে দুই ক্লাস শেষে প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন। বিকেলের পর থেকে তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
সামিউলের বন্ধু নাবিল জানায়, সেদিন ক্লাস চলাকালীন সামিউল বলেছিল, আর কখনো দেখা হবে না। তারপর ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেল।
শিশুটির মা জানান, তিনি ও তার স্বামী কুঠি শিল্পে কাজ করেন। বাড়ির চাবি ছেলের কাছে রেখে তারা প্রতিদিন কাজে যায়। মঙ্গলবার কাজ থেকে বাড়ি ফিরে ঘরের তালা দেখতে পান। এ সময় তিনি সর্বত্র খোঁজাখুঁজি করেও ছেলের সন্ধান পাননি। পরে ঘরের তালা ভেঙে স্যামুয়েলের স্কুলের ব্যাগ, খাতা, নোটবুক, টিফিন বক্স ও খাটের ওপর একটি চিঠি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, বাবাকে সামিউল লিখেছে- “আব্বু তুমি আমাকে মাফ করে দিও। আমি চললাম আল্লাহর নামে। তোমরা সবাই ভালো থেকো। কেউ কষ্ট পাবে না। তোমাদের যদি কোনো ক্ষতি হয়, আমি সব খবর রাখবো। আমাকে খবর দেবে একজন। তোমরা আমাকে খুঁজবা না। আর যদি খোঁজো তাহলে আমাকে জীবিত পাবে না।”
তবে হঠাৎ করেই কেন সামিউল চিঠি লিখে বাসা ছেড়েছিল, এর সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি। তবে যাই হোক না কেন, সামিউলকে ফিরে পেয়ে সস্থি ফিরেছে তার পরিবারে।