সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মুরাল নিয়ে কটুক্তি করার অভিযোগে সম্প্রতি রাজধানী ঢাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হন ব্যাপক আলোচিত কাটাখালী পৌর মেয়র আব্বাস আলী। তবে গ্রেপ্তার হতে না হতেই তার বিরুদ্ধে ওঠে আসছে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এরই ধারাবাহিকতায় এবার জানা গেল, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি খাল ভরাট করে তুলেছিলেন অবৈধ দোতলা মার্কেট। ইতিপূর্বে নোটিশ পাঠিয়েও সদূত্তোর পায়নি পবা ভূমি কার্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। সে কারণেই জেলা প্রশাসকের সিদ্ধান্তে শানবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে অবৈধ স্থাপনাটি ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।
এদিকে মার্কেট ভাঙার কাজ শুরুর ঘণ্টা খানেক পর উচ্ছসিতরা মিষ্টি বিতরণ করেন।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কাটাখালী বাজারের বাসস্ট্যান্ডে এ মিস্টি বিতরণ করা হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন যুবক জানান, দীর্ঘদিন ধরে কাটাখালী বাসস্ট্যান্ড বাজারের পাশে ৭-৮টি দোকান ছিল কিছু গরীব মানুষের। মেয়র আব্বাস তা উচ্ছেদ করে সেখানে ভবন গড়ে তোলেন। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ভবনটির কয়েকটি দোকানও বরাদ্দ দেন তিনি। তবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তির পর থেকে তার পতন শুরু হয়। পরে র্যাবের হাতে ধরা খাওয়ার পর কাটাখালীতে তার ত্রাসের রাজত্ব দূর হয়।
তারা জানান, মেয়র আব্বাসের ভয়ে কেউ কথা বলতে পারতাম না। তবে আজ অবৈধ মার্কেট ভাঙা পড়ায় আমরা মিষ্টি বিতরণ করছি।
আব্বাসের মার্কেটটি ভাঙার সময় উপস্থিত ছিলেন কাটাখালী পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঞ্জুর রহমান। তিনি বলেন, এতোদিন মেয়রের ভয়ে কাটাখালী পৌরসভায় কেউ কথা বলতে পারত না। সেই মেয়র আব্বাসের দিন শেষ। আজ তার অবৈধ ভবন ভাঙার কারণে এলাকার বেশকিছু যুবক খুশিতে মিষ্টি বিলি করছে।’
তিনি বলেন, ‘আমি ডায়াবেটিক্সের রোগী। মিষ্টি খাওয়া নিষেধ। এরপরও তারা আমাকে জোর করে মিষ্টি খাইয়ে দিয়েছে। তাদের খুশিতে আমিও শামিল হয়েছি।’
মোট কথা মেয়র আব্বাসের গ্রেপ্তারের খবরে যেন গোটা এলাকাজুড়ে আনন্দের বন্যা বইতে শুরু করেছে। দীর্ঘদিন পর যেন তার অত্যাচার থেকে রক্ষা পেয়েছেন তারা। আর এই আনন্দ একে অপরের সাথে ভাগ করে নিতে অনেকটা ব্যস্ত সময় পার করছেন সকলেই।