সাম্প্রতিক সময়ে আবাসিক হোটেলগুলোতে প্রায় অসামাজিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে পড়ে তরুণ-তরুণীরা, এমন খবর প্রায় গণমাধ্যমগুলোতে উঠে আসে। অনেক সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালালে তাদের অনেককে অপকর্মের সময় হাতেনাতে ধরতে পারে।
এদিকে আইন-শৃংখলা সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আবাসিক হোটেলগুলোর মালিক বা কর্তৃপক্ষ অসামাজিক কার্যকলাপের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যায় যার কারণে ধ্বংসযজ্ঞ যুবসমাজ তবে মাঝে মাঝে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে এই বিষয়টিকে মনে রাখার চেষ্টা করে। এবার বগুড়ায় অভিযান চালালো পুলিশ।
বগুড়ার বেশ কয়েকটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে ৩৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা অভিযানে আটক ৩৬ জনের মধ্যে ২৩ জন পুরুষ এবং বাকি ১৫ জন নারী। এদের অধিকাংশের বসবাস বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, জয়পুরহাট, ফেনী, নেত্রকোনা, ভোলা, টাঙ্গাইল, গাইবান্ধা, নারায়ণগঞ্জ, রাজবাড়ী, ময়মনসিংহ, নওগাঁ, দিনাজপুর, বরিশাল ও নাটোরে।
বগুড়া সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, সদর থানা পুলিশের অভিযানে শহরের বিভিন্ন আবাসিক হোটেল থেকে ৩৬ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে ১৪ বছরের এক কিশোর তার বান্ধবীকে নিয়ে আবাসিক হোটেলে সময় কাটানোর জন্য অর্থ যোগাতে তার বন্ধুকে কৌশকে বাগানে নিয়ে নিথর করে। বন্ধুর মোবাইল ফোন নেওয়ার জন্য সে তার বন্ধুকে প্রাণে মে”রে ফেলে। পরে ঐ মোবাইল ফোন একটি দোকানে বিক্রি করে হোটেলের খরচ মেটায়। এটাই ছিল তার উদ্দেশ্য। প্রকৃতপক্ষে তরুণ জেনেছিল আবাসিক হোটেলে মেয়েদের নিয়ে সময় কাটানোর পথে কোনো বাধা থাকে না। তাই হোটেলের খরচ যোগাতে সে তার বন্ধুকে নিথর করে।