সম্প্রতি গত কয়েকিদন আগেই ছাত্রলীগের এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে দুর্ঘটনাবশত মঞ্চ ভেঙে পড়ে যান ক্ষমতাধীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ ঘটনার পর, দোলে কর্মীর থেকে নেতা বেশি বেশি হয়ে গেছে বলেও মন্তব্য করতে দেখা যায় তাকে।
আর এদিকে এবার নোয়াখালীর কবিরহাটে এক কর্মী সমাবেশের স্টেজে উপস্থিত নেতাদের সমালোচনা করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন বলেছেন, ‘কেউ বাকি নেই, সব নেতা। এত নেতা হলে কর্মীর কারখানা বন্ধ হয়ে যাবে।’। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টায় নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার কবিরহাট পৌরসভার বঙ্গবন্ধু চত্বরে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের উদ্দেশে সেতুমন্ত্রী বলেন, আজ পাকিস্তান ডুবে গেছে, অর্থনীতি ডুবে গেছে। মির্জা ফখরুল এখনো পাকিস্তানের গুণগান গেয়েছেন। ৭১ ফখরুলের পছন্দ নয়। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ফখরুলের প্রিয় নয়। সে জন্য তিনি গোলাপবাগের গরুর হাটে বৈঠকে যান। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে করবেন না। কারণ, পেয়ারা (প্রেম) পাকিস্তান সেখানে আত্মসমর্পণ করেছে। ৭ মার্চের ভাষণ ছিল।
কাদের বলেন, “পাকিস্তান ফখরুলের পেয়ারা বন্ধু। তারা সকালে জেগে পাকিস্তানের কথা বলে। রাতে পাকিস্তানের বিজয়ের গান গাইতে ঘুমায়। বাংলাদেশের কাছে এখনো ৫ মাসের আমদানি মজুদ আছে। পাকিস্তানের কাছে এক সপ্তাহ আমদানি করার টাকা নেই। এখনো। , মির্জা ফখরুল বলেন, পাকিস্তান আমলে আমি ভালো ছিলাম।
বিএনপি নেতাকর্মীদের দিকে ইঙ্গিত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা তাদের ওপর হামলা করতে চাই না। কিন্তু তারা অস্ত্র নিয়ে সিরাজগঞ্জের পাইকপাড়ায় হামলা চালিয়ে ১৮টি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। তারা কারা? আমি তাদের বলতে চাই, যে হাত অস্ত্র আনবে সেই হাত ভাঙ্গব, যে হাত আগুন আনবে সেই হাত আমি পুড়িয়ে দেব, যে হাত ভাঙচুর করতে আসবে তাকে গুঁড়িয়ে দেব। আমরা আক্রমণ করব না কিন্তু আক্রান্ত হলে ছাড় দেব না। আগামী ডিসেম্বরে ফাইনাল খেলা হবে।
নারীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে বোরকা পরিয়ে ঘরে আটকে রাখবে। তারা আবার এলে বাংলাদেশ হবে আফগানিস্তান। মেয়েরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারে না। তারা ক্ষমতায় এলে নারীরা সরকারি চাকরি করতে পারবে না। আজ পুলিশের এসপি, ডিসি মেয়ে। আজ সচিব একজন নারী, উচ্চ আদালতের বিচারক একজন নারী, সেনাবাহিনীর মেজর একজন নারী। কে করেছেন? শেখ হাসিনা করেছেন।’
দেশ ও দেশের মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা পালন করছেন বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। আর আগামীতেও যেন এমনটা অব্যহত থাকে এমনটাই প্রত্যাশা সবার।