সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় সৃষ্ট আগুন, ধোঁয়া ও বাষ্প অন্তত বেশকিছু এলাকায় জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এবং এর পরোক্ষ প্রভাব ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় অনুভূত হয়েছে। ওই এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরেও রাসায়নিকের দুর্গন্ধ মানুষ নাকে পেতে পারে এবং তারা চোখের জ্বালায় ভুগতে পারে এমনটাই মনে করছেন অনেকে। স্থানীয় নানা সুত্রমতে দুর্ঘটনাস্থল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে বসবাসকারী লোকজনও বিস্ফোরণের কম্পন অনুভব করেছিলেন।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ৪৫ ঘণ্টা ধরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। বেশ কিছু কন্টেইনার এখনো জ্বলছে। সোমবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় আবারও আগুন বাড়তে দেখা যায়। ফায়ার সার্ভিস জানায়, দীর্ঘ ৪৫ ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বেশ কিছু দমকলকর্মী কাজ করে ক্লান্ত। আগুনের মাত্রা অতিরিক্ত হওয়ায় দমকল কর্মীরাও ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। সোমবার ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের বড় পাঁচটি ইউনিট এখন আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। চারটি রাসায়নিক পাত্র সরিয়ে নিরাপদ স্থানে পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে কর্মরত ফায়ার ফাইটার আবুল হাসান বলেন, আগুন এখনো জ্বলছে। আমাদের কিছু সদস্য আগুনের অতিরিক্ত তাপ থেকে ক্লান্ত। কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে তারা কাজে ফিরছেন। চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে বিএম কন্টেইনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে প্রয়ানের সংখ্যা সংশোধন করেছেন জেলা প্রশাসন ও সিভিল সার্জন। সিভিল সার্জন প্রয়ানের সংখ্যা ৪৯ থেকে ৪১ এ নামিয়ে এনেছেন। এছাড়া জেলা প্রশাসন এখন বলছে ৪১ জনের প্রয়াত হয়েছে। সিভিল সার্জন ও জেলা প্রশাসন বলছে, আগের ৪৯টি তথ্য ভুল ছিল।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে, অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা বলছেন যে সীতাকুণ্ড কন্টেইনার ডিপোতে রাসায়নিক হাইড্রোজেন পারঅক্সাইড ছিল, যা তারা বিশ্বাস করে যে বিস্ফোরণের মুল কারন। তারা বলছেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে যে পাত্রে অত্যন্ত দাহ্য রাসায়নিক রয়েছে সেই পাত্র থেকেই এই অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত। এ কারণেই একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে, এতে অনেক প্রাণহানি ঘটনাও ঘটেছে সংশ্লিষ্ট উদ্ধারকর্মীদের বর্ননা মতে।