বাংলা সিনেমার বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির সঙ্গে আপত্তিকর কথপোকথনের একটি অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই রীতিমতো বেশ আলোচনায় আসেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান। শুধু তাই নয়, একজন মন্ত্রী হয়ে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দায়ে শেষমেষ মন্ত্রীর পদটাই হারাতে হয় তাকে।
তবে এদিকে এবার জানা গেল, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে সাধারণ ক্ষমার পেতে আবেদন করেছেন আলোচিত এই ডা. মুরাদ হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের প্যাডে তিনি এ আবেদন করেন।
সংসদ সদস্যের ঘনিষ্ঠ জনপ্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন মুকুল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ ক্ষমা চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।
আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী ক্ষমা করে দেবেন। ’
সাধারণ ক্ষমার আবেদনে মুরাদ বলেন, ‘আমার বাবা মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিয়র রহমান তালুকদার ছিলেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি। জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ২০২১ সালে ৭ ডিসেম্বর ওই পদ থেকে আমাকে অব্যাহতি প্রদান করে। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসেবে দৃঢ় প্রত্যয়ে অঙ্গীকার করিতেছি যে ভবিষ্যতে এমন কোনো কর্মকাণ্ড করব না, যার ফলে আপনার বিন্দুমাত্র সম্মানহানি হয়। অতএব বিনীত নিবেদন এই যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রমে অংশ গ্রহণের সুযোগ প্রদান করে বাধিত করবেন। ’
এ বিষয়ে মুরাদ হাসান বলেন, আমি সাধারণ ক্ষমার জন্য আবেদন করেছি। আমি আশা করছি, প্রধানমন্ত্রী আমাকে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আপত্তিকর অডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গত বছরের ৭ ডিসেম্বর প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যেতে হয় তাকে। এ ঘটনার দিন পর দেশও ছাড়ার চেষ্টা করেন করেন তিনি।