বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য প্রবাসী রয়েছেন যারা প্রতি বছর দেশে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাঠান। তাদের পাঠানো অর্থের মাধ্যমে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। এদিকে, গত কয়েক বছর দেশে বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স এসেছে। এই ধারাকে অব্যহত রাখতে আবারো রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য বড় সুখবর এলো। রেমিট্যান্সযোদ্ধারা দেশে অর্থ পাঠালে তাদের পুরস্কারস্বরূপ প্রণোদনা দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এতে করে সামনের দিনে আরও রেমিট্যান্স আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে একের পর এক রেকর্ড হচ্ছে। তাই তো রেমিট্যান্সকে উৎসাহিত করতে পুরস্কারস্বরূপ প্রবাসীরাও পাচ্ছেন প্রণোদনা।
এদিকে বিদায়ি অর্থবছরে (২০২০-২১) সর্বশেষ কিস্তিতে এক হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গেল সপ্তাহে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুকূলে এই অর্থ ছাড় করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে এই অর্থ দেওয়া হবে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য বড় সুখবর, এ ব্যাপারে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়ে বলেন, রেমিট্যান্সপ্রবাহে সরকার খুশি। এই প্রবাহ ধরে রাখতে প্রবাসীদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরেও এই খাতে ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া আছে। পর্যাপ্ত বরাদ্দও বাজেটে রাখা আছে। তাই বেশি রেমিট্যান্স এলেও প্রণোদনার অর্থ নিয়ে সমস্যা হবে না।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, প্রবাসীদের পাঠানো পাঁচ হাজার ডলার বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনায় কোনো প্রশ্ন করা হচ্ছে না। জমা দিতে হচ্ছে না কোনো কাগজপত্র। তবে রেমিট্যান্সের পরিমাণ এই অঙ্কের বেশি হলে প্রাপককে প্রেরকের পাসপোর্টের কপি এবং বিদেশি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠানের নিয়োগপত্র অবশ্যই জমা দিতে হবে। আর ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে ব্যবসার লাইসেন্সের কপি দাখিল করতে হবে। দুই মাসের মধ্যে এসব নথিপত্র দাখিল করতে হবে। কাগজপত্র দাখিল করলেই মিলবে ২ শতাংশ নগদ সহায়তা।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অসংখ্য প্রবাসী কাজ করে চলেছেন। তাদের উপার্জিত অর্থ দিয়ে দেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রায় সময় অভিযোগ ওঠে প্রবাসীরা দেশের জন্য অনেক কষ্ট করলেও তাদের জন্য তেমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে প্রবাসীদের নানা রকম সুবিধা দিয়ে আসছে সরকার। আর এবার রেমিট্যান্সযোদ্ধাদের জন্য এই সুখবর এলো।