গত প্রায় আড়াই বছর আগে নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমদ খানকে মারধরসহ প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজি সেলিম-পুত্র ইরফান সেলিমের দেহরক্ষী। এ ঘটনায় ইরফান সেলিমসহ তার দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী সেই ওয়াসিফ নিজেই। যদিও এ মামলায় কিছুদিন কারাগারে থাকার পর জামিনে জেল থেকে ছাড়া পান তিনি।
তবে দীর্ঘদিন পর সেই মামলায় ইরফান সেলিমের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম মো. আসাদুজ্জামান নূরের আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
এদিন মামলার শুনানির তারিখ ধার্য থাকলেও আদালতে হাজির না হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে সময়ের আবেদন করেন ইরফান সেলিম। আদালত সময়ের আবেদন নাকচ করে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একই সঙ্গে ইরফান সেলিমসহ ৫ আসামির বিরুদ্ধে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ইরফান। আদালত আগামী ৬ মার্চ শুনানির দিন ধার্য করেছেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট ওয়াসিফ আহমেদ খান মোটরসাইকেল চালাচ্ছিলেন। এ সময় এমপি হাজী সেলিমের ছেলে ওয়ার্ড কাউন্সিলর এরফান সেলিমের গাড়ি তাকে ধাক্কা দেয়। এরপর তিনি রাস্তার পাশে মোটরসাইকেল থামিয়ে গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের পরিচয় দেন। এরপর গাড়ি থেকে এরফানের সঙ্গে থাকা অন্যরা মিলে তাকে ঘুষি মেরে হত্যার হুমকি দেয়। স্ত্রীকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ ঘটনায় পরবর্তীতে ধানমন্ডি থানায় ইরফান সেলিমের দেহরক্ষীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওয়াসিফ। আর এ মামলার আলোকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে নেয় পুলিশ।