সম্প্রতি গত কয়েকদিন আগেই নিখোঁজ হন রহিমা বেগম। তবে নিখোঁজের দীর্ঘ ২৭ দিন পর তাকে উদ্ধারে করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। কিন্তু এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারো আলোচিত সেই রহিমা বেগমের নিখোঁজের বিষয়টি উঠে এসেছে।
তবে পরিবারের কেউ বিষয়টি পরিষ্কারভাবে স্বীকার করেননি। কিন্তু বিষয়টি মিথ্যা বলেও দাবি করেননি কেউ। বরং মেয়ে মরিয়ম মান্নান বলেছেন, মা বাড়ি ছেড়ে গেলে তাকে আর খোঁজ করবেন না তিনি।
এদিকে রহিমা বেগমের ছেলে মোহাম্মদ মিরাজ আল শাদী সাক্ষ্য দেন যে, মা নিজেই অপহরণের নাটক সাজিয়েছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে খুলনা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কার্যালয়ে গিয়ে মায়ের বিরুদ্ধে জবানবন্দি দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন মিরাজ। পরে পুলিশ তাকে আদালতে নিয়ে যায়।
মিরাজ বলেন, রহিমা বেগম বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপন করে মিথ্যা কথা বলে। এটা তার ইগোতে আঘাত করেছে। এ জন্য তিনি স্বেচ্ছায় মায়ের বিচার চেয়ে আদালতে জবানবন্দি দিতে চান।
এদিকে রহিমা বেগম দুই দিন আগে মেয়েদের বাড়ি ছেড়ে অজ্ঞাত স্থানে চলে যায়। সোমবার বিকেলে তার মেয়ে মরিয়ম মান্নান গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।
মরিয়ম সোমবার বলেন, “আমার ভাই সাদি আমাকে জানিয়েছিলেন যে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে আমি আদুরীকে ফোন করে জানতে পারি যে মাকে পাওয়া যাচ্ছে না। কোথায় গেছে কেউ জানে না। আমি আর আমার মাকে খুঁজব না।’ তিনি জানান, ফরিদপুর থেকে উদ্ধারের পর রহিমাকে আদুরীকে আদালতের মাধ্যমে হেফাজতে দেওয়া হয়।তবে ভাই-বোনের সিদ্ধান্তে তিনি রহিমা ও আদুরীকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা পিবিআই পুলিশ সুপার সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, আদালত রহিমাকে আমাদের হেফাজত দেয়নি। তাই তিনি কোথায় আছেন, সেটা আমাদের চিন্তার বিষয় নয়। আদালত তাকে তার মেয়ে আদুরির হেফাজতে দিয়েছে। তাই তিনি এ বিষয়ে ভালো কথা বলতে পারেন।
ইতিপূর্বেই তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। এ সময়ে নিজ মাকেই গুম করার অভিযোগ উঠে মেয়ে মরিয়ম মান্নাকে বিরুদ্ধে। যদিও তা সত্য বলে প্রমাণিত হয়নি।