বর্তমান সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের দাবিতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী। বৃহস্পতিবার (৯ নভেম্বর) জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানান।
জালিম সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন, সব রাজবন্দি ও উলামা-মাশায়েখদের মুক্তিসহ জামায়াতের আমির ড. শফিকুর রহমানের মুক্তি, মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করে দ্রব্যমূল্য জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে নিয়ে আসা। এছাড়া গত কয়েক দিনের কর্মসূচিতে নিহতদের আত্মার মাগফেরাত ও আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে আগামী ১০ নভেম্বর শুক্রবার দেশব্যাপী মোনাজাতের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এই সরকার গত ১৫ বছর ধরে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে নাগরিকদের ওপর জবরদস্তি চালাচ্ছে। সরকারের অন্যায়ে ছেয়ে গেছে দেশ। তারা দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশে স্বৈরাচার ও স্বৈরাচার চালু হয়েছে। নাগরিকদের ভোটাধিকার এবং মিটিং-মিছিল করার অধিকারসহ তাদের সকল মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এমতাবস্থায় ফ্যাসিবাদী সরকার বুঝতে পেরেছিল যে তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে এবং জনগণের আস্থা হারিয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে ক্ষমতায় আসা তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ক্ষমতা হারানোর এই ভয়ে আওয়ামী সরকার ক্ষমতার অপব্যবহার করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে গণতন্ত্রের বিকাশের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।
আমরা সরকারকে সতর্ক করতে চাই, গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক জনগণ জেগে উঠেছে। তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিরোধী দলের কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছেন। আপনাদের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে তারা নিরন্তর প্রতিবাদ ও প্রতিবাদ করে যাচ্ছে। ভালো বুদ্ধি দেখান। জনগণের ন্যায্য দাবি মেনে নিন। পদত্যাগ করুন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করুন। দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচান। অন্যথায় যে কোনো পরিস্থিতির জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।’
ঘোষিত কর্মসূচিতে সুশৃঙ্খল ও শান্তিপূর্ণভাবে অংশগ্রহণ করে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য জামায়াতের সর্বস্তরের নেতাকর্মী এবং সংগ্রামী দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান জামায়াতের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি।