জ্বালানি তেলের দাম হঠাৎ বেড়ে যাওয়াতে দেশের মানুষ একাবরেই দিশেহারা হয়ে পড়েছিল। এক রাতের ব্যবধানে জ্বালানি তেলের দাম গিয়ে পৌছেছে আকাশচুম্বী। আর এই নিয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঘটে যায় অনেক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। সুযোগের সদ্বব্যবহার করে দেশের এক দল দুষ্চক্রকারী এমন কান্ড ঘটিটেছে বলে জানা গেছে। সম্প্রতি জানা গেল বিশ্ববাজারে আরো কমলো জ্বালানি তেলের দাম।
আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমেছে। ইউক্রেনে রাশিয়ার যুদ্ধের পর কয়েক মাস ধরে তেলের দাম আকাশচুম্বী। তবে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে কমছে এই গুরুত্বপূর্ণ পণ্যটির দাম। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বেশ কয়েকটি দেশ সুদের হার বাড়িয়েছে। বৈশ্বিক মন্দার ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় তেলের চাহিদা কমে গেছে। তাছাড়া ডলারের দাম বাড়ায় অনেক দেশের ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে।
ক্রমবর্ধমান সুদের হার প্রধান অর্থনীতিতে মন্দার দিকে নিয়ে যাবে, তেলের দাম ধীরে ধীরে কমছে। আজ সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ব্রেন্ট ক্রুড অয়েলের দাম ব্যারেল প্রতি ৫৪ সেন্ট বা ০.৬৩ শতাংশ কমে ৮৫.৬১ ডলারে দাঁড়িয়েছে। তাছাড়া ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দাম ব্যারেল প্রতি ৪৮ সেন্ট বা ০.৬১ শতাংশ কমে ৭৮.২৬ ডলার হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তেলের দাম একদিনেই প্রায় পাঁচ শতাংশ কমে আট মাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছে। একই সময়ে, আন্তর্জাতিক বাজারে বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল প্রতি ৪.৮ শতাংশ বা ৪.৩১ ডলার কমে ৮৬. ১৫ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এই দিন যুক্তরাষ্ট্রের তেলের বেঞ্চমার্ক ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের দামও ৪ দশমিক ৮ শতাংশ বা ব্যারেলপ্রতি ৪ দশমিক ৭৫ ডলার কমে ৭৮ দশমিক ৭৪ ডলারে দাঁড়ায়। গত বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) এক লাফে সুদের হার ৭৫ বেসিস পয়েন্ট বাড়ানোর ঘোষণা দেয় যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক। এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে সুদের হার বাড়িয়েছে বিশ্বের অন্যান্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোও। এতে আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে অর্থনৈতিক মন্দার ঝুঁকি। ২০০২ সালের মে মাসের পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রধান মুদ্রার বিপরীতে সর্বোচ্চ দরে পৌঁছেছে মার্কিন ডলার। ডলারের মান বাড়লে অন্যান্য মুদ্রা ব্যবহার করে ক্রেতাদের জন্য জ্বালানি কেনা আরও ব্যয়বহুল হয়ে ওঠে, যার ফলে চাহিদা কমে যায়। সুত্রঃ রয়টার্স
প্রসঙ্গত, জ্বালানি তেল হলো অতি প্রয়োজনীয় একটি তরল পদার্থ। বিশ্বে জ্বালানি তেলের চাহিদা রয়েছে প্রচুর এবং প্রতিদিন ব্যারেল ব্যারেল জ্বালনি তেল ব্যবহার করা হচ্ছে বুভিন্ন কাজের জন্য। বিভিন্ন কলকারখানা ও যানবাহন চালানোর জন্য জ্বালানি তেলের কোনো বিকল্প নেই। তবে বাংলাদেশের সরকার জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে জনমনে কিছুটা হলেও প্রশান্তি এনেছে।