আবারো আলোচনায় দেশের নোয়াখালী জেলা। এবার এক সাথে বিবস্ত্র করা হয়েছে স্বামী এবং স্ত্রীকে। আর এই ঘটনায় এখন তোলপাড় চলছে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায়।
খোজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় মধ্যযুগীয় কায়দায় স্বামীর সঙ্গে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও করে এক গৃহবধূকে ছিনতাই করেছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় নির্যাতিতা গৃহবধূর বাড়ি থেকে নগদ আট হাজার টাকা, গোয়ালঘর থেকে একটি গরু ও তিনটি মোবাইল ফোন চুরি করে দুর্বৃত্তরা।
গত সোমবার রাতে উপজেলার ধানশালিক ইউপির ৯ নম্বর ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও ভয়ে ঘর থেকে বের হয়ে মামলা করতে পারেনি হতদরিদ্র পরিবার। পরিবারটি আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ভয়ে কিছু বলতে পারছে না।
আসামিরা হলেন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরলেহী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মুস্তাফিজুর রহমানের ছোট ভাই আবু বক্কর সিদ্দিক তানভীর, একই ওয়ার্ডের আজি উল্লাহ দফতরী বাড়ির আজি উল্যার ছেলে ওমর ফারুক, সুরুজ মিয়ার ছেলে রাজন ও মো. আজু মিয়া বাড়ির নাজির বেপারীর ছেলে আলতাফ।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ জানান, গত সোমবার রাত ১১টার দিকে তার পরিবারের সবাই বাড়িতে ছিলেন। এ সময় তার স্বামীর সঙ্গে কথা হয়। এরপর চরলেহী ইউপির ১নং ওয়ার্ডের তানভীর, ফারুক, রাজন, আলতাফ ও তাদের সহযোগীরা তার বসার ঘরের দরজায় লাথি মারে। দরজা খোলার পরপরই তারা ঘরে ঢুকে তার স্বামী কামালকে মারধর করে খাটের নিচ থেকে পাঁচ হাজার টাকা, তিন হাজার টাকা ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়। এরপর কামালকে আবারও মারধর করে দুই লাখ টাকা দাবি করে হামলাকারীরা। টাকা দিতে না পারায় কসাইখানা থেকে ৭০ হাজার টাকা মূল্যের একটি গরু লুট হয়েছে। পরে তারা আমাকে এবং আমার স্বামীকে নগ্ন করে ছবি তোলে। একপর্যায়ে তারা আমার দুই মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। অভিযুক্তরা এখনও তাদের ওপর নজর রাখছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অভিযুক্ত আবু বকর সিদ্দিক তানভীর জানান, ওই নারী দুই স্বামীর সঙ্গে থাকতেন। তবে ভিডিও ধারণ, টাকা, মোবাইল ও গরু লুটপাটের সঙ্গে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, এ দিকে এই ঘটনায় ইতমধ্যে খোজ খবর শুরু করে দিয়েছে পুলিশ। আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার পাশাপাশি দোষীদের ধরার জন্যও কাজ করে যাচ্ছে। এ নিয়ে কবিরহাট থানার ওসি মো. রফিকুল ইসলাম জানান, নিহতের পরিবার থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।