দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামালপুর-৪ আসনে জয়ী হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ। হেরে গেছেন সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ড. মুরাদ হাসান ও নৌকার প্রার্থী মাহবুবুর রহমান।
রোববার (৭ জানুয়ারি) রাতে বেসরকারি ফলাফলে আব্দুর রশিদ পেয়েছেন ৫০ হাজার ৬৭৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মাহবুবুর রহমান পেয়েছেন ৪৭ হাজার ৬৩৮ ভোট এবং মুরাদ হাসান পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৪৩৩ ভোট।
এর আগে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে ২৯৯টি আসনে বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় কোথাও কোথাও বিচ্ছিন্ন দাঙ্গাও হয়। ৩০ থেকে ৩৫টি স্থানে ভোটকেন্দ্রের বাইরে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়েছে। কোথাও ভোট কেন্দ্রের কাছে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। অনিয়মের কারণে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বাতিল এবং ২১টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। ১৫ জনকে ভোট কারচুপিতে সহায়তা করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। কারচুপি ও ভয় দেখানোর অভিযোগে ৪০ জন প্রার্থী ভোট বর্জন করেন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ কোটি ৯৭ লাখ। এর মধ্যে পুরুষ ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন, নারী ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারের সংখ্যা ৮৫২ জন। মোট ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ১০৩টি। ভোটকেন্দ্র ২ লাখ ৬১ হাজার ৯১২টি। ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়া হয়।
ইসির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ৩০০ আসনের মধ্যে ২৯৯টি আসনে ভোট হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর মৃত্যুর কারণে নওগাঁ-২ আসনের ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচনে অংশ নেয় ২৮টি দল। এর মধ্যে দলীয় প্রার্থী ১ হাজার ৫৩৪ জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী ৪৩৬ জন। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেশি ২৬৬ প্রার্থী ছিলেন। এছাড়া জাতীয় পার্টি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৬৫ প্রার্থী এবং তৃতীয় সর্বোচ্চ ১৩৫ প্রার্থী তৃণমূল বিএনপি।
এদিকে বিএনপিসহ ৬০টি দল নির্বাচন বর্জন করেছে। সরকার পতনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে দলটি এবং নির্বাচনের দুই মাস আগে হরতাল-অবরোধের পথ বেছে নিয়েছে দলটি। সরকারকে চাপ দিতে না পেরে দলটি ২০ ডিসেম্বর ‘অসহযোগ আন্দোলন’ ডেকে ভোট বর্জনের ডাক দেয়। দলটি সরকারকে সমস্ত কর, খাজনা, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।