ইডেন কলেজ নিয়ে যেন আলোচনা সমালোচনা থামছেই না। একের পর এক সব ঘটনার কারনে বার বার আলোচনার খোরাক দিচ্ছে ইডেন কলেজ। এবার ঘটেছে আরো একটি ঘটনা।জানা গেছে রাজধানীর ইডেন মহিলা কলেজে ছাত্রী নির্যাতন ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলায় নুসরাত জাহান কেয়া নামে এক ছাত্রীকে অধ্যক্ষের কক্ষে ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানি, মানসিক নির্যাতন ও জোর করে অঙ্গীকারনামা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ইডেন কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে। ৬ ঘণ্টা আটকে রাখার পর সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীকে তার চাচাতো ভাইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ভিকটিম মার্কেটিং-এ মাস্টার্স অধ্যয়নরত ছাত্রী এবং ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি।
কেয়া অভিযোগ করেন, সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকালে সনদ নিতে ক্যাম্পাসে গেলে শিক্ষকরা তাকে অধ্যক্ষের কক্ষে নিয়ে যান। সেখানে তাকে দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৬ ঘণ্টা আটকে রেখে হয়রানি ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। তিনি বলেন, অধ্যক্ষের কক্ষে প্রায় ৩৫ জন শিক্ষক আমাকে উত্ত্যক্ত করেন। একপর্যায়ে হুমকি দিয়ে লিখিত রূপ নেয়। পরে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি।
কেয়া আরও অভিযোগ করেন যে আমার কাছ থেকে জোরপূর্বক বন্ড নেওয়া হয়েছে আমার বক্তব্যের লিখিত কারণ জানাতে বলা হয়েছে। আমার বাসায় ফোন করে বাবা-মাকে আসতে বলে। বাবা-মা গ্রামে থাকায় তারা আসতে পারেনি। পরে আমার এক চাচাতো ভাই ঢাকায় থাকে, সে এসে আমাকে কলেজ থেকে নিয়ে যায়। আমি এখনো অসুস্থ।
গণমাধ্যমের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কথা বলতে কলেজের অধ্যক্ষ ড. সুপ্রিয়া ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, ইডেন কলেজ নিয়ে সমালোচনার শুরু হয় গেলো সেপ্টেম্বর এর ২৬ তারিখ থেকে। সেইদিনই ইডেন কলেজে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের কোন্দল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাশে ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন নুসরাত জাহান কেয়া। প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি নিজেই অভিযোগ করেন, টাকা নিয়ে হল পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রচণ্ড নির্যাতনে দুই দিনের বেশি থাকতে পারেননি তিনি। এছাড়া ওই দিন শিক্ষার্থীদের অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগের কথাও বলেন তিনি।