সম্প্রতি স্ত্রীর ওপর নির্যাতনসহ নানা অভিযোগ উঠে ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায় মামলার করে তার স্ত্রী ইসরাত জাহান। পরে পুলিশ তাকে গ্রেফতারে করতে অভিযান চালালে তিনি গাঢাকা দেন। তবে গতকাল আল-আমিন হাই কোর্ট আগাম জামিন পান বলে তার আইনজীবি গনমাধ্যকে জানান। একদিন অতিবাহিত হতে না হতে আবারও মা/মলা করল তার স্ত্রী।
একসাথে বসবাসের অধিকার, মাসিক ভরনপোষণ ও সন্তানদের খরচ দাবি করে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার আল-আমিন হোসেনের বিরুদ্ধে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম শফি উদ্দিনের আদালতে আল-আমিনের স্ত্রী ইসরাত জাহান মা/মলাটি দায়ের করেন।
এদিন আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে আদালত মা/মলাটি গ্রহণ করেন।
এরপর তিনি আল-আমিনকে আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ দেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ইসরাত জাহান ও আল-আমিন ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসলামী আইন অনুযায়ী বিয়ে করেন। তাদের দুই ছেলে আছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে কেজিতে ইংরেজি ভার্সনে পড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই আল-আমিন তার স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ দেননি এবং খুঁজে পাওয়া এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাড়িতে এসে স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাথারী কিল ঘুষিসহ লাথি মে/রে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান। এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়।
গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তার মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সাথে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরনপোষণ দিবেন না। প্রয়োজনে স্ত্রীকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে তালাক দিবেন। পরকীয়ায় আসক্তের কারণে একাজ করেছে এবং একজন মহিলার সাথে উঠানো ছবি ইসরাতে কাছে পাঠায়।
মা/মলায় আরো বলা হয়, আল-আমিন স্ত্রী-সন্তানদের বাসা থেকে বের করে অন্যত্র বিয়ে করবেন বলে জানান। দুই বছর যাবৎ আসামি বাদীর খোঁজখবর নেয় না এবং বাসায় নিয়মিত থাকে না। এ কারণে ইসরাত তার দুই সন্তানসহ বসতবাড়িতে শান্তিপূর্ণভাবে বসবাসের অধিকারসহ মাসিক ভরণপোষণ দাবি করে মা/মলা করেন। জীবন ধারণের জন্য ৪০ হাজার, দুই সন্তানের ভরনপোষণ ও ইংলিশ মিডিয়ামে লেখাপড়াবাবদ ৬০ হাজার টাকা আল-আমিনের কাছে পাওয়ার হকদার বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।
প্রসঙ্গত, স্ত্রীর ও সন্তানের দায়িত্ব পালন করেন না তাছাড়া তিনি অন্য নারীর সাথে সম্পর্কে জড়িয়েছেন এমন অভিযোগ দাবি করে আবার মামলা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ত্রী। তবে এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেন।