হঠাৎ করেই দেশে বেশ কিছু নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছে দেশের মানুষ। বিশেষ করে দেশের নিম্নআয়ের মানুষ বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। এই চলমান সংকটের মধ্যে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী মিল মালিকরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রতি লিটার তেল দাম ৭ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এই বিষয়ে বিস্তারিত রলো প্রকাশ্যে।
আবারও সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে চায় ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী মিল মালিকরা। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে তারা বোতলজাত ও খোলা সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে ৭ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে। তবে বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এই প্রস্তাব অনুমোদন দিলে ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী মিল মালিকরা তা জানিয়ে দেবে। রবিবার (১৭ অক্টোবর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত নিত্যপণ্যের মজুত পরিস্থিতি, আমদানি ও দাম নির্ধারণ নিয়ে বৈঠকে সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানোর এই প্রস্তাব করা হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আমদানি ও অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য (আইআইটি) অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব এএইচএম সফিকুজ্জামান সভায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, ‘সয়াবিন তেল পরিশোধনকারী মিল মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রস্তাব ছিল বোতলজাত প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৬৮ টাকা করার। ট্যারিফ কমিশন একাধিকবার বসে অ্যানালাইসিস করে ১৬২ টাকা (বোতলজাত সায়াবিন তেল) করার সুপারিশ করেছে। এটা ছিল সেপ্টেম্বর মাসের অ্যাভারেজ রিপোর্ট। আজকে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করে প্রতি লিটার বোতলজাত তেলের দাম ঠিক করা হয়েছে ১৬০ টাকা, যেটার আগে দাম ছিল ১৫৩ টাকা।
সভায় খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৩৬ টাকা, বোতলজাত ৫ লিটার তেলের দাম ৭৬০ টাকা, আর পাম অয়েল প্রতি লিটার ১১৯ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। বাণিজ্যমন্ত্রী ও সচিব এই প্রস্তাব অনুমোদন দিলে তা বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন আনুষ্ঠানিকভাবে সয়াবিনের দাম জানাবে। বৈঠকে ভোজ্যতেল উৎপাদন ও বিতরণকারী কোম্পানিগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে নির্ধারিত দাম হচ্ছে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১২৯ টাকা, ৫ লিটারের বোতল ৭২৮ টাকা ও পাম তেল প্রতি লিটার ১১৬ টাকা। অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘চিনির রেগুলেটরি ডিউটি কবে থেকে কার্যকর হচ্ছে, তা অ্যাসেসমেন্ট করে মানুষকে জানিয়ে খুব শিগগিরই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এদিকে নিত্যেপ্রয়োজনীয় পন্যের দাম বৃদ্ধির তাগিদে বর্তমান সরকারের দেশ পরিচালনা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অবশ্যে চলমান এই অস্থিতিলীল দ্রব্যেমূলোর বাজার স্থিতিশীল রাখতে আপ্রান ভাবে কাজ করছে সরকার। এমনকি এই বিষয়ে সরকার গ্রহন করেছে নানা ধরনের পদক্ষেপ।