সম্প্রতি ভারতের কানপুরের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে দেশটির আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা নগদ ১৯৭ কোটি টাকা উদ্দাহর করেছে। এই ঘটনা সমগ্র দেশ জুড়ে আলোচনার শীর্ষে উঠেছে এসেছে। এই রেশ কাটতে না কাটতে নতুন আরও রকটি ঘটনা উঠে এসেছে প্রকাশ্যে। এবার আরেক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়েছে আয়কর দফতরের কর্মকর্তারা। সেখানে মিলেছে নগদ ৮ কোটি টাকা সহ বিপুল পরিমানের স্বর্ন। এই প্রসঙ্গে বিস্তারিত উঠে এলো প্রকাশ্যে।
সপ্তাহ দু’য়েক আগের ঘটনা। কানপুরের ব্যবসায়ী পীযূষ জৈনের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ১৯৭ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছিল আয়কর দফতর। ১২০ ঘণ্টার ম্যারাথন তল্লাশি চালিয়ে নগদ টাকা ছাড়াও উদ্ধার হয় রাশি রাশি সোনা। টাকার পরিমাণ অত না হলেও এ বার মধ্যপ্রদেশের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে ৩৯ ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে নগদ আট কোটি টাকা-সহ উদ্ধার হল প্রায় তিন কেজি সোনা। এই টাকা উদ্ধার করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় আয়কর দফতরের আধিকারিকদের। মাটির নীচে একটি জলের ট্যাঙ্ক থেকে উদ্ধার হয় এক কোটি টাকা। ব্যাগের মধ্যে ওই টাকা লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ ছাড়া প্রায় তিন কেজির মতো সোনা উদ্ধার হয়েছে যার মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা। আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই ব্যবসায়ীর নাম শঙ্কর রাই। তিনি মধ্যপ্রদেশের দামোহ জেলার বাসিন্দা। আয়কর দফতরের জব্বলপুর বিভাগের যুগ্ম কমিশনার মুনমুন শর্মা বলেন, ‘‘রাই পরিবারের বাড়ি থেকে আট কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে। এর মধ্যে এক কোটি টাকা মাটির নীচে ট্যাঙ্কের মধ্যে রাখা একটি ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয়েছে। এ ছাড়া তিন কেজি সোনাও উদ্ধার হয়েছে।’’ আয়কর বিভাগের এই তল্লাশি চালানোর ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে চলে এসেছে। এই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে সংস্থার কর্মী হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে টাকা শুকোচ্ছেন। এক জন আবার ইস্ত্রি করে টাকা সমান করছেন। আয়কর বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে ব্যবসায়ী শঙ্কর রাই দামোহ নগর পুরসভার একজন জনপ্রতিনিধি তিনি কংগ্রেসে হয়ে ভোটে লড়েন। অন্য দিকে তাঁর ভাই কমল রাই পুরসভার ভাইস-চেয়ারম্যান ছিলেন।
কোথা থেকে এল এত টাকা?
আয়কর বিভাগ জানিয়েছে কর্মচারীদের নামে তিন ডজনেরও বেশি বাস রয়েছে রাই পরিবারের। তাঁদের সম্পত্তির হদিশ দেওয়া জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করে আয়কর বিভাগ। যুগ্ম কমিশনার জানিয়েছেন যে তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। যে সব নথি উদ্ধার হয়েছে তার ভিত্তিতে আরও তল্লাশি চালানো হবে।
কিছু অসাধু ব্যক্তি রয়েছে যারা কিনা ব্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে বিপুল পরিমানের অর্থ উপার্জন করলেও সরকারের কোষাগারে আরোপিত কর না দেওয়ার লক্ষ্যে নানা ধরনের পন্থা অবলম্বন করে থাকে। এবং বিভিন্ন স্থানে নগদ অর্থ লুকিয়ে রাখে। তবে এই সমস্ত ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে প্রায় সময় সরকার তাদের অর্থ জব্দ করে থাকে।
Cash was stashed in an underground tank, hair dryers and clothes iron were used by IT dept sleuths to dry up the cash @ndtv @ndtvindia pic.twitter.com/gKq1lXS3km
— Anurag Dwary (@Anurag_Dwary) January 8, 2022