দেশে ফের দেখা দিয়েছে নগদ ডলারের সংকট। দেশের অধিকাংশ ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারগুলোয় ড/লার মিলছে না। ফলে নগদ ডলারের দাম আবার বেড়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের বেঁধে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী এখন প্রতি ডলার নগদ মূল্য ১১২ টাকা ৫০ পয়সা হওয়ার কথা। কিন্তু রাজধানীর খোলা বাজারে ডলার বিক্রি হচ্ছে ১১৭ থেকে ১১৮ টাকার মধ্যে।
১ আগস্ট থেকে ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলার প্রতি ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা এবং রপ্তানি বিল নগদ করার জন্য ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা দাম দিচ্ছে। এ ছাড়া আমদানি পর্যায়ে ডলারের সর্বোচ্চ দাম ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। সরকারি খাতের ব্যাংকগুলো এখন নগদ ডলারের হার নির্ধারণ করেছে ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা, বেসরকারি ব্যাংকগুলোতে ১১১ টাকা ৫০ পয়সা পর্যন্ত। মানি চেঞ্জাররা ডলারের রেট ব্যাংকের চেয়ে ১ টাকা বেশি রাখতে পারে।
এ প্রসঙ্গে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম জামান বলেন, ডলারের জোগান নেই, তাই বিক্রি করতে পারছি না। কিছু দিন আগে সরবরাহ পেয়েছিলাম, তারপর বিক্রি করেছি ১১২ টাকা দরে।
ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, সাধারণত প্রবাসীরাই ব্যাংকে নগদ ডলার সরবরাহের প্রধান মাধ্যম। যেসব ব্যাংকের খুচরা গ্রাহক বেশি তারা কিছু ডলার পাচ্ছে। মতিঝিল এলাকার ব্যাংকগুলোতে নগদ ডলার সরবরাহকারী ছিল জনতা ব্যাংকের স্থানীয় কার্যালয়। কিন্তু এখন সেখানে ডলার পাওয়া যায় না।
ব্যাংক ও মানি চেঞ্জারের কর্মকর্তারা বলছেন, গত জুলাই ও চলতি আগস্ট মাসে ডলার কেনার ব্যাপক চাহিদা ছিল। এ সময় অনেকেই বিদেশ ভ্রমণে গেছেন। অনেকেই শিক্ষার জন্য বিদেশে গেছেন। তাদের প্রায় সবাই নগদ ডলার বহন করে। ফলে বাড়তি মানসিক চাপ তৈরি হয়।
জনতা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আবদুল জব্বার বলেন, নগদ ডলার পাওয়া গেলে বিক্রি হয়। এখন কেউ আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করছে না, তাই আমরা এর জন্য অর্থও দিতে পারি না। কিন্তু মাঝে মাঝে কেউ বিক্রি করলে আমরা গ্রাহকদের কাছে বিক্রি করছি। আমরা ডলার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করছি।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০২২ সালের জুলাই-আগস্টে সঙ্কটের সময় খোলা বাজারে ডলারের দর সর্বোচ্চ ১২১ টাকায় উঠেছিল। এরপর ব্যাংক ও খোলা বাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর থেকে, কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলার অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) এবং ব্যাংক এক্সিকিউটিভ অ্যাসোসিয়েশন (এবিবি) কে ডলারের মূল্য নির্ধারণের দায়িত্ব অর্পণ করে। এছাড়া নগদ ডলারের দামও নির্ধারণ করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।